অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমসের ২১তম আসরে আবদুল্লাহ হেল বাকীর পর বাংলাদেশকে দ্বিতীয় পদক এনে দিলেন শাকিল। দীর্ঘ প্রায় ২৮ বছর পর কমনওয়েলথ গেমসের ৫০ মিটার পিস্তল থেকে বাংলাদেশকে আরেকটি রৌপ্য পদক এনে দিলেন ২২ বছরের তরুণ শ্যূটার শাকিল।
এমন একটি সফলতার পর আনন্দিত শাকিল সাংবাদিকদের কাছে নিজের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এমন অর্জনে অবশ্যই ভালো লাগছে। বাংলাদেশ থেকে ভালো প্রস্তুতি নিয়ে এখানে এসেছিলাম। আমার লক্ষ্য ছিল পদক যাই হোক, নিজের সেরা স্কোরটা অব্যাহত রাখা। দলের প্রত্যেকেই তাদের সেরা স্কোর করেছে। কারণ এবার আমাদের প্রস্তুতি খুব ভালো ছিল।’
এক দিন আগে ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে খুব একটা সুবিধা করতে না পারলেও সেখানেও নিজের ভালো পারফর্মেন্স ছিল দাবি করে শাকিল বলেন, ‘আমার ১০ মিটার এয়ার পিস্তলেও ভালো পারফরমেন্স ছিল। কিন্তু ফাইনালের কথা আগে কিছুই বলা যায় না। তারপরও আমি চেষ্টা করেছি। কিন্তু ৫০মিটার পিস্তল আমার আসল ইভেন্ট। আশা করেছিলাম এখানে ভালো কিছু করব। এখানে যেটা চেয়েছি সেটাই করতে পেরেছি। বাছাইপর্বে ও ফাইনালেও। অনুশীলনে সবসময় যেটা মারি সেটাই মেরেছি।’
শাকিল আরও বলেন, ‘দীর্ঘ দিন আমাদের এসএ গেমসেও পদক ছিল না। আমি ২০১৬ সালে প্রথম স্বর্ণপদক জয় করেছি। তখন থেকেই লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলাম কমনওয়েলথ গেমসকে। সেভাবেই প্রস্তুতি শুরু করি । লক্ষ্য ছিল ভালো কিছু করা। ফেডারেশন থেকে সবধরনের সাহায্য সহযোগিতা পেয়েছি। যা চেয়েছি তাই পেয়েছি। বাংলাদেশ আর্মিও (নিজের দল) আমাকে সহায়তা দিয়েছে। ফেডারেশনের মহাসচিব সহ আমার অন্য সতীর্থরাও আমাকে সমর্থন যুগিয়েছে। তাদের কাছেও আমি কৃতজ্ঞ।’
উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে অনুষ্ঠিত অকল্যান্ড কমনওয়েলথ গেমসে এয়ার পিস্তল থেকে বাংলাদেশকে প্রথমবারের মত স্বর্ণ পদক এনে দিয়েছিলেন আতিকুর রহমান ও আবদুস সাত্তার নিনি। ওটাই ছিল এই গেমসে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম পদক। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০২ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে অনুষ্ঠিত গেমসে এয়ার রাইফেল ইভেন্ট থেকে লাল সবুজদের শিবিরে স্বর্ণপদক এনে দেন আসিফ হোসেন। ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত গেমসে বাংলাদেশ দলগতভাবে রৌপ্য এবং ২০১০ সালে ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত গেমসে দলগত ব্রোঞ্জ পদক জয় করে।
সর্বশেষ ২০১৪ সালে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো নগরীতে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমসে এই শ্যূটিং থেকেই বাংলাদেশকে রৌপ্য পদক এনে দেন আবদুল্লাহ হেল বাকী।