কিছুদিন আগেই কর্পোরেট ব্যবসায় নাম লিখিয়েছিলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। স্বর্ণ আমদানি ও ব্রোকারেজ হাউজের মালিকানা নিয়ে কর্পোরেট ব্যবসায় এসেছিলেন সাকিব। এবার ব্যাংকিং খাতেও মালিকানা নিচ্ছেন তিনি।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দৈনিক বণিকবার্তার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এখনও সাকিব আল হাসানের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে লাইসেন্স প্রাপ্তির অপেক্ষায় আছে পিপলস ব্যাংক। এ ব্যাংকের দুইটি পরিচালক পদের মালিকানা নিচ্ছেন সাকিব আল হাসান। দুই পরিচালক পদে থাকবেন সাকিব আল হাসান এবং তার মা শিরিন আক্তার। এ সংক্রান্ত নথিপত্র বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠিয়েছে পিপলস ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
কিছুদিন আগে স্বর্ণ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এবং ব্রোকারেজ হাউসের লাইসেন্স নিয়েছেন সাকিব আল হাসান।
উদ্যোক্ত হিসেবে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হতে হলে উক্ত ব্যাংকের ২ শতাংশ শেয়ার কিনতে হবে। সে হিসেবে সাকিবকে পিপলস ব্যাংকের প্রতিটি পরিচালক পদের জন্য সর্বনিম্ন ১০ কোটি টাকা মূলধন হিসেবে জোগান দিতে হবে। তবে ব্যাংকটির পরিচালক হতে ২৫ কোটি টাকার মূলধন দিচ্ছেন সাকিব আল হাসান। দৈনিক বণিকবার্তার প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে।
পিপলস ব্যাংকের প্রধান উদ্যোক্ত এম এ কাশেম জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই এ সংক্রান্ত সকল নথিপত্র বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘পিপলস ব্যাংকের লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন আমরা সংগ্রহ করতে পেরেছি। আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে আমরা চূড়ান্ত লাইসেন্স পাব।’
এর আগে ২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় বেঙ্গল কমার্শিয়াল, সিটিজেনস এবং পিপলস ব্যাংক নামে নতুন তিনটি ব্যাংক তৈরির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বেঙ্গল কমার্শিয়াল এবং সিটিজেনস ব্যাংক লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) পাওয়ার পর লাইসেন্স পেয়েছে। তবে লাইসেন্স নিতে পারেনি পিপলস ব্যাংক। চলতি বছরের মধ্যেই লাইসেন্স পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী পিপলস ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]