গোল্ড কোস্টে কমনওয়েলথ গেমসে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে অল্পের জন্য স্বর্ণ হাত ছাড়া হয়েছে বাংলাদেশের শ্যুটার আব্দুল্লাহ হেল বাকীর। মাত্র ০.৩ স্কোর ব্যবধানে প্রথম হওয়া থেকে ছিটকে গেছের তিনি। ২৪৫ স্কোর নিয়ে স্বর্ণ পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ডেইন স্যাম্পসন আর ২৪৪.৭ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন বাংলাদেশি এ শ্যুটার।
তবে কেন এ সামান্য স্কোরের জন্য বাকীরে তথা বাংলাদেশ স্বর্ণ থেকে বঞ্চিত হলো। সে বিষয়ে বিবিসি বাংলা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়, শ্যুট শেষে বাকী বলেন, ‘শুরুতে আমি কোনও চাপে ছিলাম না। শেষ শটেও আমার লিড ছিল, ১০.১ করতে পারলেও হয়তো জিতে যেতাম। তবে যা হয়নি তা নিয়ে আর ভাবছি না।’
শেষ শটের আগের রোমাঞ্চটা কেমন ছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে রুপাজয়ী বাকী বলেন, ‘প্রতিপক্ষ যখন শট শেষ করে তখনই আমি স্কোরে একবার চোখ বুলিয়েছিলাম, এটা আমি আগেই জানতাম যে আমাকে কত পেতে হবে।’
সেখানেই ভুলটা করে ফেলেন বাকী। বলেন, ‘এটা শ্যুটিংয়ের মূলনীতির বিরুদ্ধে, কোচ জানলে আমাকে নিশ্চিত তিরস্কার করবেন। শ্যুটিংয়ে এটা একদমই উচিত না। এ ভুলটার কারণেই হয়তো পিছিয়ে গেছি। সেখানেই চাপ নিয়ে ফেলেছি যে এত পয়েন্ট পেতেই হবে।’
২৪৪.৭ স্কোর নিয়ে ইভেন্ট শেষ করেছেন ২৮ বছর বয়সী এ বাংলাদেশি শ্যুটার। যেখানে ২৪৫ স্কোর নিয়ে স্বর্ণ পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ডেইন স্যাম্পসন। আর ২২৪.১ পয়েন্ট নিয়ে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন ভারতের রবি কুমার। ২০১৪ কমনওয়েলথ গেমসেও একই ইভেন্টে রুপা জিতেছিলেন বাকী।
বাকীর এ সাফল্য তিনি নিজেকেই উৎসর্গ করেছেন। বলেন, আমি নিজেই চেষ্টা করেছি। এই খেলার জন্য পড়াশুনা বা বিয়েশাদী কিছুই করা হয়নি। স্বর্ণের একদম কাছে থেকে ফিরে এসেছি, একটা সুযোগ ছিল। তবে আমি সন্তুষ্ট।
জাতীয় পর্যায়ে ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে টানা চারবার স্বর্ণপদক পেয়েছেন বাকী। ১৯৯০ সালে অকল্যান্ডের আসরে প্রথম সোনা জিতেছিল বাংলাদেশ। আতিকুর রহমান ও আব্দুস সাত্তার নিনির হাত ধরে এসেছিল ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের দলগত সেরার পদকটি। এছাড়া ২০০২ সালে ম্যানচেস্টারের আসর থেকে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সোনা এনে দিয়েছিলেন আসিফ হোসেন খান। ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের সেরা হয়েছিলেন তিনি।