প্রথম ভারতীয় হিসেবে ট্র্যাক-ফিল্ডে জ্যাভোলিন থ্রোতে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন নীরজ চোপড়া। এরপর থেকেই একের পর শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন তিনি। অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জিতে বেশ খ্যাতির বিড়ম্বনায় পড়েছেন ভারতের এ ‘সোনার ছেলে’। স্বর্ণপদক জয়ের পর খ্যাতি পাওয়ার আগে নিজের হতাশার কথা ভুলে যাননি নীরজ চোপড়া।
টোকিও অলিম্পিক জয়ের আগে এতটা মসৃণ ছিল না নীরজ চোপড়ার যাত্রা। ২০১৯ সালে ইনজুরিতে পড়েছিলেন, করতে হয়েছিল সার্জারি। এ সময়ে কিভাবে নিজেকে সামলে রেখেছেন সে বিষয়েই কথা বলেছেন নীরজ।
অ্যাথলেটিক্স বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের আগ মুহূর্তে চোটে পড়ায় বেশ হতাশ হয়ে পড়েছিলেন বলে জানান নীরজ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ওই সময়ে স্বাভাবিকভাবেই মাথায় নেগেটিভ চিন্তাভাবনা আসে। অ্যাথলেটদের জন্য চোট খুবই সাধারণ ব্যাপার। তবে টুর্নামেন্টের আগে হলে তা হতাশা বাড়িয়ে দেয়। দিনশেষে এটার উপর কারও নিয়ন্ত্রণ থাকে না।’
যে সময় চোটে পড়েছিলেন তার কিছুদিন পড়েই অ্যাথলেটিক্স বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এবং অলিম্পিক ছিল। এ সময়ে নিজেকে কিভাবে নির্ভার রেখেছেন সে বিষয়েও জানিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘এ সময়ে যতটা সম্ভব হাসিখুশি থাকা দরকার। রিহ্যাব ট্রেনিংয়ে ফোকাস থাকলে ফিট হতে সময় লাগে না। বেশি নেগেটিভ চিন্তাভাবনা থাকলে তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।’
অলিম্পিকে স্বর্ণ জয়ের পর থেকেই রাতারাতি নীরজের পরিচিতি বেশ বেড়ে গিয়েছে। বিষয়টাকে স্বাভাবিকভাবে নিলেও, অতিরিক্ত আগ্রহ তার অনুশীলনে কোনো বাধা সৃষ্টি করতে দিতে চাননা।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অ্যাথলিটের প্রধান কাজ অনুশীলন করা এবং পরের প্রতিযোগিতাগুলোর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা। সবকিছুর সঙ্গে যাতে অনুশীলনে কোনরকম বাধা সৃষ্টি না হয়, সেটা দেখতে হবে। ভবিষ্যতে এক্ষেত্রে আরও উন্নতি দরকার।’
অলিম্পিকে স্বর্ণজয়ের পর এসব বিষয়ে অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে যাবে বলে ধারণা ছিল বলে জানান নীরজ চোপড়া। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পদক জিতলে সাক্ষাৎকার এবং বাকি সবকিছু হবে সেটা কল্পনার মধ্যেই ছিল। তবে আমি ভেবেছিলাম এগুলোর পাশাপাশি সমান তালে আমার অনুশীলনও চলবে। তবে এটা এখন একটু হলেও ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান তিনি।’
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]