তালেবানরা ক্ষমতা দখলের পর ছেলেদের খেলাধুলায় স্বাধীনতা দিলেও মেয়েদের বিষয়ে মুখে কুলুব এঁটেছে তালেবান। যার ফলে আতঙ্কে দিন কাটছে আফগানিস্তান নারী ক্রীড়াবিদদের। তারই ধারাবাহিতকতায় এবার দেশ ছাড়লেন যুব মহিলা দলের ফুটবলাররা। কোচ ও পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তান চলে গেছেন তারা।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আফগানিস্তান থেকে তোরখাম সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে এসেছে আফগান নারী ফুটবল দল। তারা সবাই আফগানিস্তানের বৈধ পাসপোর্ট এবং পাকিস্তানের ভিসা নিয়ে এসেছে, আমরা তাদের স্বাগত জানাই। পাকিস্তান ফুটবলার ফেডারেশনের নৌমান নাদিমও তাদের স্বাগত জানিয়েছেন।
এদিকে, নিজ দেশ আফগানিস্তান ছেড়ে নারী ফুটবলাররা পাকিস্তানে গেলেও সেখানে তারা স্থায়ী হবেন না বলে জানা গেছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানানো হচ্ছে, স্বল্প সময়ের মধ্যেই তারা যুক্তরাষ্ট্র বা অস্ট্রেলিয়া চলে যেতে পারেন।
পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তা উমার জিয়া বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে যেসব নারী ফুটবলারা এসেছে (পাকিস্তানে) তারা ৩০ দিনের মধ্যে অন্য দেশে চলে যাবে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে তাদের পাঠানোর চেষ্টা করছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার পাকিস্তান যাওয়া আফগান নারী দলের এ বহরে ৮১ জন রয়েছেন।এছাড়া আরও ৩৪ জন পাকিস্তান যাওয়ার কথা রয়েছে।
গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখলে নেওয়ার মাধ্যমে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নেয় তালেবানরা। ক্ষমতা গ্রহণের পর সম্প্রতি সরকার গঠন করে এবং শরীয়া আইনে দেশ পরিচালনা ঘোষণা দেওয়া হয়। যা ফলে মাঠের খেলায় ছেলেরা স্বাধীনতা পেলেও মেয়েদের বিষয়ে ছাড় দিয়ে রাজি নয় তালেবানরা। যদিও মেয়েদের খেলাধুলার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছু জানায়নি তারা।
এছাড়া শেষবার তালেবানদের শাসনামলে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ থাকলেও এবার তারা তেমন কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়নি। ছেলেদের সাথে মেয়েদেরও উচ্চ শিক্ষায় সুযোগ দিচ্ছে তারা। তবে একই ক্লাসরুম হলেও পর্দা দিয়ে ছেলে এবং মেয়েদের বসার জায়গা আলাদা করা হয়েছে।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]