বছর পাঁচেক আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেসির জার্সি পড়ে বেশ হইচই ফেলে দিয়েছিলেন মুর্তাজা আহমাদি। ২০১৬ সালে প্লাস্টিকের জার্সি পড়ে ভাইরাল হওয়া ভিডিওর সে শিশুর পরিবার তালেবানদের ভয়ে এখন ছাড়তে চাচ্ছে আফগানিস্তান।
অর্থাভাবে মেসির জার্সি কিনতে না পারায় প্লাস্টিকের ব্যাগ কেটে মুর্তাজা আহমাদিকে জার্সি বানিয়ে দিয়েছিল তার বড় ভাই। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর শিশুটিকে খুঁজে বের করে ইউনিসেফ আফগানিস্তানের মাধ্যমে দুইটি জার্সি এবং উপহার পাঠায় মেসি। পরবর্তীতে কাতারের রাজধানী দোহায় মেসির সাথে সাক্ষাৎ করেন মুর্তাজা আহমাদি।
তালেবান আক্রমণের পরে গ্রাম থেকে পালিয়ে কাবুলে এসেছে মুর্তাজার পরিবয়ার। কিন্তু এখানেও তারা স্বস্তিতে নেই। তালেবানদের ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
আফগানিস্তান ছাড়ার আকুতি জানান মুর্তাজা আহমাদি। সংবাদ সংস্থা ইএফইকে আহমাদি বলেন,‘আমি ঘরে আটকা পড়ে আছি এবং তালেবানদের ভয়ে বাইরে বের হতে পারছি না।’
আহমাদিদের জীবন নিয়ে সংশয়ের মূল কারণ ধর্মীয়। ইসলাম ধর্মের অনুসারী হলেও তাদের পরিবার হাজারা শিয়া সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। এ সম্প্রদায়ের লোকদেরকে খুঁজে বেড়াচ্ছে তালেবান। এ ভয়েই গ্রাম থেকে কাবুলে এসেছিল তারা। তবে এখানে এসে কোনো ধরনের নিরাপত্তায় পাচ্ছেন না তারা।
মুর্তাজার বোন মাহদিয়া আহমাদি বলেন, ‘আমাদের কী হবে? আমরা হুমকির মধ্যে আছি। এখন কোনো পুলিশ বা সৈন্য নিরাপত্তা দিচ্ছে না। যখন দরজায় কেউ আওয়াজ করছে, মুর্তাজার ধারণা ওটা তালেবান এবং ছুটে আমার কাছে বা মায়ের কাছে লুকাতে যাচ্ছে।’
তিনি আরও জানান, মেসির সাথে দেখা হওয়াটা তাদের জীবনে নেতিবাচক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ সবাই ধরে নিয়েছে মেসির সঙ্গে দেখা হওয়ায় তারা বড় ধরনের অর্থ পেয়েছেন। দোহা থেকে ফেরার পর থেকেই হুমকি এবং ভয়ের মধ্যেই আছে মুর্তাজা এবং তার পরিবার।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]