পুরো আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তালেবান। আতঙ্কে দেশ ছাড়তে গিয়ে বিমান থেকে পড়ে এক ফুটবলারের মৃত্যু হয়। এবার দেশ ছাড়লেন টোকিও অলিম্পিকে আফগানিস্তানের পতাকা বহনকারী নারী অ্যাথলেট কামিয়া ইউসুফিও।
কামিয়া ইউসিফিওর দেশ ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আফগানিস্তান অলিম্পিক কমিটির মুখপাত্র আরেফ পেমান। নিউইয়র্ক টাইমসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দেশ ছেড়ে ইরানে পাড়ি জমিয়েছেন কামিয়া ইউসুফিও। ১৯৯৬ সালে ইরানে জন্মগ্রহণ করেন কামিয়া। সে বছরই আফগানিস্তানের তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে। নিশ্চিত ভবিষ্যতের চিন্তা করে কামিয়া ইউসুফিওর পরিবার।
মাত্র ১৩ বছর বয়সে স্প্রিন্টার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন কামিয়া। তখন অবশ্য খেলতেন উদ্বাস্তু হিসেবে, কারণ তখন তার কাছে ছিল না দেশের কোনো পরিচয়।
২০১৩ সালে দেশের বাইরে থাকা প্রতিভা খুঁজে বের করার কাজ শুরু করে আফগানিস্তান। এখানেই সবার নজর করেন কামিয়া। স্বপ্ন সত্যি করে ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে অংশ নেন। আফগানিস্তানের একমাত্র নারী অ্যাথলেট হিসেবে অলিম্পিকে অংশ নিয়েছিলেন। সবার প্রশংসা কুড়ান তিনি।
টোকিও অলিম্পিকে একধাপ এগিয়ে ছিলেন কামিয়া ইউসুফিও। অলিম্পিক মার্চ পাস্টে আফগানিস্তানের পতাকা বহন করেছিলেন কামিয়া। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে হিট থেকে বাদ পড়লেও ১৩.২৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে আফগান রেকর্ড ভাঙেন তিনি।
২০১৬ রিও অলিম্পিকে ১৪.০২ সেকেন্ড সময় নিয়ে আফগান রেকর্ড গড়েন কামিয়া ইউসুফিও। টোকিও অলিম্পিকে নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙেন তিনি।
১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশে সবধরনের খেলাধুলা নিষিদ্ধ করেছিল তালেবান। তাই তো শঙ্কিত হয়ে দেশ ছেড়েছেন কামিয়া ইউসুফাই। ফিরে গেছেন জন্মস্থান ইরানে।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]