লিওনেল মেসি; আর্জেন্টিনার এই তারকা ফুটবলার সম্প্রতি বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে পাড়ি জমিয়েছেন। প্রাণের ক্লাব বার্সেলোনার সাথে দীর্ঘ ২১ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করার ইচ্ছা না থাকলে থাকা সম্ভব হয়নি। ক্যাম্প ন্যূতে বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে অঝোরে কেঁদেছিলেন মেসি। কান্নার সময় মেসি নাক ও চোখের পানি মোছা টিস্যু নিয়ে ঘটেছে আরেক কাণ্ড। যা কি-না বিশ্ব গণমাধ্যমে এখন সংবাদ শিরোনাম।
বার্সেলোনার বিদায় অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছেন লিওনেল মেসি। সংবাদ সম্মেলনে একটা সময় স্মৃতিকাতর মেসি কান্না করেন। সে সময় চোখের পানি মুছতে স্ত্রী আন্তোনেলা রোকুজ্জো একটি টিস্যু বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। মেসিকে চোখের সাথে নাকের পানিও মুছতে দেখা যায়। মেসির ব্যবহৃত সেই টিস্যুটি এবার বিক্রি হয়েছে অবিশ্বাস্য দামে।
সংবাদ সম্মেলনে টিস্যুটি ব্যবহার করে সেখানেই ফেলে দিয়েছিলেন মেসি। ভক্তদের মধ্য থেকে সেটি আবার একজন সংগ্রহ করেছিলেন। পরে সেই ব্যক্তি টিস্যুটি বিক্রির ঘোষণা দিলে ১ মিলিয়ন ডলারে সেটি বিক্রি হয়েছে। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮ কোটি ৪০ লাখ।
আরব-আমিরাতের সংবাদ মাধ্যম ‘গালফ টুডে’র এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে। বলা হয়, মেসির ব্যবহৃত ওই টিস্যুটি নিলাম থেকে এক স্প্যানিশ ধনকুবের কিনে নিয়েছেন।
তবে এর চেয়েও মজার ব্যাপার হলো- টিস্যু বিক্রেতা দাবি করেছেন, ‘কান্না করার সময় মেসি চোখ ও নাকের পানি মুছার কারণে টিস্যুতে মেসির জিনগত উপাদান আছে। যা দিয়ে পরবর্তীতে ক্লোন করে তার মতোই বিখ্যাত ফুটবলার পাওয়া সম্ভব!’
টিস্যু এবং মেসির একটি সত্যি ঘটনাও রয়েছে। ২১ বছর আগে যখন বার্সেলোনার সাথে মেসির প্রথম চুক্তি হয় তখন সেটি একটি টিস্যু পেপারেই লিখা হয়েছিল।
২০০০ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে আর্জেন্টিনার ক্লাব নিওয়েলস ওল্ড বয়েজ থেকে বার্সেলোনায় নাম লেখান মেসি। সুদূর আর্জেন্টিনা থেকে তৎকালীন বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট তুলে এনেছিলেন তাকে। কিশোর ফুটবলার মেসির নৈপুণ্যে বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট তখন এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে, হাতের কাছে থাকা টিস্যু পেপারেেই চুক্তিটা করে ফেলেছিলেন।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]