শেষ হলো অপেক্ষার পালা। জাপানের টোকিওতে পর্দা উঠলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞ ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ’ খ্যাত অলিম্পিকের। মহামারি করোনাভাইরাসকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এক বছর পিছিয়ে যাওয়া ‘টোকিও অলিম্পিক-২০২০’ শুরু হলো।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) জাপানের টোকিওতে বাংলাদেশ সময় বিকেল পাঁচটায় বর্ণিল আলোকসজ্জা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় দর্শকবিহীন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। তবে পুরো উদ্বোধনী অনুষ্ঠাত বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাপানের সম্রাট নারুহিতো। ১৯৬৪ সালে অলিম্পিকের উদ্বোধন করেছিলেন তার দাদা সম্রাট হিরোহিতো। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রধান থমাস বাখ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রো ও মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন।
অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্রীড়াবিদদের প্যারেড শুরুর আগে নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে ক্রীড়া জগতের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘অলিম্পিক লরেল’ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) পক্ষ এ সম্মাননা পান নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ইউনূস।
এরপর অ্যাথলেটদের প্যারেড দিয়ে শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। সবার আগে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেন গ্রিসের অ্যাথলেটরা। এরপর অলিম্পিক কমিটির শরণার্থী দল। এরপর ইংরেজি অদ্যাক্ষর ‘আই’ দিয়ে শুরু হওয়া দুই দেশ আইসল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড স্টেডিয়ামে প্রবেশ করে।
অলিম্পিকে অংশ নেওয়া অ্যাথলেটরাও চালিয়েছেন একক অনুশীলনে। টোকিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রতীকীভাবে ফুটিয়ে তোলা হয় সে দৃশ্য। জাপানের নার্স ও বক্সার তাসুবাদা মঞ্চের মাঝখানে গিয়ে একাই দৌঁড়ান বেশ কিছুক্ষণ।
‘টোকিও অলিম্পিক-২০২০’ আসরে ২০৬ দেশের প্রায় সাড়ে ১১ হাজার অ্যাথলেট অংশ নিচ্ছেন। গত ২৫ শে মার্চ থেকে শুরু হয় টোকিও অলিম্পিকের ১২১ দিনের টর্চ রিলে বা মশাল দৌঁড়। যা শুক্রবার (২৩ জুলাই) ফুকুশিমায় গিয়ে শেষ হয়েছে। মশাল দৌঁড়ে ১০ হাজার দৌড়বিদ অংশ নিয়েছেন।
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এবারের অলিম্পিক দর্শক ছাড়াই অনুষ্ঠিত হবে। তবে টেলিভিশনে সকল অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
করোনার কারণে এবারের অলিম্পিকে রয়েছে কড়া নিয়ম। কোভিড-১৯ নিয়ম না মানলে শুধুমাত্র এবারের গেমস ভিলেজ থেকেই নয়, ভবিষ্যতের অলিম্পিকেও জায়গা হবে না বলে অ্যাথলেটদের হুঁশিয়ার করে দিয়েছে টোকিও অলিম্পিক কর্তৃপক্ষ।
অলিম্পিক চলাকালেও জাপানে জরুরি অবস্থা চলছে। পুরো গেমসই জরুরি অবস্থার মধ্যেই পরিচালিত হবে। শুক্রবার (২৩ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া এ গেমস শেষ হবে ৮ আগস্ট। এরপর শুরু হবে প্যারালিম্পিক গেমস।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]