রাজশাহী বিভাগের শ্রেষ্ঠত্বের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে প্রথম বাংলাদেশ যুব গেমস। প্রথম আসরে ৩৭টি স্বর্ণ, ৩৫টি রুপা ও ৪০টি ব্রোঞ্জপদক জিতে সেরা হয়েছে রাজশাহী। আর ৩৭টি স্বর্ণ, ২৩টি রুপা ও ৩৪টি ব্রোঞ্জ জিতে রানার্সআপ খুলনা এবং ৩৫টি স্বর্ণ, ২৬টি রুপা ও ৪৩টি ব্রোঞ্জপদক জিতে তৃতীয় হয় চট্টগ্রাম বিভাগ।
সারাদেশের সেরা ২ হাজার ৬৬০ ক্রীড়াবিদের অংশগ্রহণে চূড়ান্ত পর্বে ১৬৩টি স্বর্ণপদকের আসরটি শেষ হয়েছে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্ট ১০০ মিটার স্প্রিন্ট দিয়ে। যুব গেমসের শেষ ইভেন্টে স্বর্ণ জিতে আসরের রাজা হয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের হাসান মিয়া এবং নারীদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে খেতাব জিতে রানীর মুকুট পরেছেন রাজশাহী বিভাগের রূপা খাতুন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শুক্রবার এ আসরের সমাপনী ঘোষণা করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মতোই বর্ণাঢ্য আয়োজনে পর্দা নােমে প্রথম বাংলাদেশ যুব গেমসের।
গত ১০ মার্চ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনে শুরু হয়েছিল এ যুব গেমসের আসর। ১৬ মার্চ শুক্রবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সমাপনী ঘোষণার মধ্য শেষ হলো তা। প্রায় সাড়ে তিনমাস এই গেমসে মত্ত ছিলেন পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি তরুণ ক্রীড়াবিদ। তবে ঢাকায় অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেন বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, খুলনা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও সিলেটের ২৬৬০ জন ক্রীড়াবিদ।
চূড়ান্ত পর্বকে ঘিরে নানা স্বপ্নের জাল বুনেছিলেন তারা। কারো স্বপ্ন বাস্তবে রুপ নিয়েছে, কেউবা কাক্সিক্ষত সাফল্য না পেয়ে হতাশ হয়েছেন। পাওয়া না পাওয়ার আনন্দ-বেদনা নিয়েই শুক্রবার ভেঙ্গেছে মিলনমেলা।
সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বিওএর সভাপতি ও সেনাপ্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক বলেন, ‘যুব গেমসে উদীয়মান ক্রীড়াবিদদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলতে পেরেছে। উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় পর্যায় শেষে ঢাকায় চূড়ান্ত পর্বে এসে খেলোয়াড়দের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। যে লক্ষ্যে এই আয়োজন, তাতে আমরা সফল। ইতিবাচক অনেকগুলো বিষয় আমরা খুজে পেয়েছি। এ বছর কিছু ভুল-ভ্রান্তি হলেও আগামীতে আরও ভালো হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনের অধীনে তাদের অনুশীলন করানো হবে। এরা উন্নত প্রশিক্ষণ পেলে অনেক দূর এগিয়ে যাবে। অভিনন্দন জানাচ্ছি গেমসের চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী ও রানার্সআপ খুলনা বিভাগকে।’