বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমসে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার খেলোয়াড়সহ মোট আট হাজার কর্মকর্তা ও টেকনিক্যাল কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেছেন। প্রাণঘাতি কোভিড-১৯ এর মতো মহামারি চলাকালে বাংলাদেশ গেমস আয়োজন সত্যিকারার্থে চালেঞ্জিং ছিল। তবে আশার কথা হলো- এখন পর্যন্ত সফলভাবে অনুষ্ঠিত হওয়া দেশের জন্য একটি বড় প্রাপ্তি।
বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা এসব কথা বলেছেন। শুক্রবার (৯ এপ্রিল) কাবাডি স্টেডিয়ামে কাবাডির ফাইনাল ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেন, ‘এটা অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। তারপরও ইনশাআল্লাহ আমরা গেমসটি সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি। প্রায় ৫ হাজার ৩শ খেলোয়াড়সহ মোট আট হাজার কর্মকর্তা ও টেকনিক্যাল কর্মকর্তাদের নিয়ে আমরা এ গেমস শুরু করেছি এবং সফলভাবে শেষ করতে (শনিবার শেষ হবে) সক্ষম হয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোন ধরনের ঝামেলা হয়নি। আর অনেকগুলা গেমস থেকে ভালো ভালো খেলোয়াড় বের হয়ে এসেছে এবং অনেকগুলা রেকর্ড হয়েছে। যেটা সত্যি আমাদের জন্য খুবই বড় একটা প্রাপ্তি।’
এ গেমসের মাধ্যমে যেসব খেলোয়াড় বের হয়েছে আগামীতে তারাই বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। বলেন, ‘গৌহাটিতে আমি বাংলাদেশের কাবাডি খেলা দেখে খুবই হতাশ হয়েছি। কিন্তু আজকের এ খেলা দেখে আমি অনেক খুশি হয়েছি। কাবাডি গত চার বছর ধরে গুরুত্বসহকারে কাজ করে অনেক উন্নত হয়েছে। ইতিমধ্যে তাদের একটা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টও শেষ হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আসর শেষ হওয়ার পর এ স্বল্প সময়ে তারা যে বাংলাদেশ গেমসে অংশগ্রহণ করেছে তার জন্য আমি সত্যি আনন্দিত এবং গর্বিত। আমি বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনকে ব্যক্তিগতভাবে এবং অলিম্পিকের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
বিওএ মহাসচিব বলেন, ‘আমি ধন্যবাদ জানাই ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে। বিশেষ করে মেডিকেল কমিটিকে। তারা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছে। ৩১টি ভেন্যুতেই তারা মেডিকেল সাপোর্ট দিয়েছেন। আল্লাহর রহমতে আমাদের কোন খেলোয়াড়ই কোভিডে আক্রান্ত হয়নি। ফলে সুন্দরভাবে আমরা গেমসটা শেষ করতে সক্ষম হয়েছি।’
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]