বিশ্বের অবিশ্বাস্য সব কীর্তির রেকর্ড সংরক্ষণ স্বরূপ থাকে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুকে। সেই গিনেজ বুকে পাঁচবার নাম লিখিয়েছে মাগুরার মাহমুদুল হাসান ফয়সাল। তবে এতেই তিনি থেমে যেতে চান না। গিনেজ রেকর্ড বুকে নিজের নামটি আরও ২০ বার লিখাতে চান।
মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র ফয়সাল সদর উপজেলার হাজিপুর গ্রামের সন্তান। ফুটবল এবং বাস্কেটবল বাহুতে ঘুরিয়ে এ রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন তিনি। সর্বশেষ ৩০ সেকেন্ডে ৬২ বার বাহুতে ফুটবল ঘুরিয়ে পঞ্চমবারের মতো গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুকে নাম তুলেছেন। সকল রেকর্ডের সনদও ইতিমধ্যে হাতে পেয়েছেন তিনি।
ছোটবেলা থেকেই দু’চোখ ভরে স্বপ্ন দেখতেন লাল সবুজের জার্সি গায়ে ব্যাট-বল হাতে বাংলাদেশের ঝান্ডা উড়াবেন। তবে নানা প্রতিবন্ধকতায় সেই স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। তবে খেলা কি বন্ধ হয়? তা হওয়ার নয়। ফুটবল নিয়ে আয়ত্ত্ব করেন দারুণ দক্ষতা। সেই থেকেই ভিন্নভাবে রেকর্ড গড়ার ইচ্ছে জাগে ফয়সালের মনে। ইচ্ছে মতো এগিয়েছেন, রেকর্ডও গড়েছেন।
উচ্ছ্বসিত ফয়সাল জানান, ‘আমার নানা-নানিসহ পরিবারের সবাই আমাকে সহযোগিতা করেছেন। আমার স্বপ্ন -এ রকম ২৫টি সার্টিফিকেট নিয়ে সবার সামনে হাজির হওয়া। পুরো বিশ্বের কাছে নিজের গ্রাম, জেলা, সর্বোপরি বাংলাদেশের পতাকাকে তুলে ধরতে কার না ভালো লাগে।’
ছেলের অর্জনে গর্বিত ফয়সালের বাবা সোহেল রানাও। বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই ফয়সাল খেলাধুলার প্রতি খুবই আগ্রহী। তবে এ রেকর্ডের জন্য সে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। এমনকি ওর লেখাপড়ারও ক্ষতি হয়েছে খুব। দুটো সেমিস্টার লস করেছে। তারপরও আমি ওকে উৎসাহিত করেছি। আজ ওর সাফল্যে আমরা খুবই আনন্দিত।’
মাগুরার সব মানুষই যেমন আনন্দিত, তেমনি নিজেদের সন্তানের কৃতিত্বে গর্বিত মাগুরা জেলা ক্রীড়া সংস্থাও। সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন বলেন, ‘ফয়সালের এ রেকর্ড আমাদের গর্বিত করেছে। ভবিষ্যতে ওকে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা দিতে আমরা প্রস্তুত।’
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]