বাংলাদেশ যুব গেমসের চূড়ান্ত পর্বে অ্যাথলেটিকসে প্রথমদিনে (রোববার) ৪০০ মিটার স্প্রিন্টের তরুণ-তরুণী দু’বিভাগেই বাজিমাত করেছে পুরনো মুখ জহির রায়হান এবং শিউলি খাতুন। দু’জনই জাতীয় জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণজয়ী অ্যাথলেট। জহির-শিউলি দু’জনই আবার বিকেএসপির শিক্ষার্থী। জহির রায়হানের বাড়ি শেরপুর জেলায়।
৪০০ মিটার স্প্রিন্টে তরুণ বিভাগে ময়মনসিংহের অ্যাথলেট শেরপুরের সন্তান জহির রায়হান ৪৯.৭০ সেকেন্ড সময়ে দৌঁড় শেষ করে স্বর্ণ, চট্টগ্রাম বিভাগের জুবাইয়ের ৫১.০০ সেকেন্ড সময় নিয়ে রুপা এবং ঢাকার আল নাঈম শেখ ৫১.৪০ সেকেন্ড সময় নিয়ে ব্রোঞ্জপদক জয় করেন।
তরুণী বিভাগে রাজশাহী বিভাগের পাবনার মেয়ে শিউলি খাতুন ১ মিনিট .১.১০ সেকেন্ড সময়ে দৌঁড় শেষ করে স্বর্ণ, খুলনার আইভি আখতার অরিন ১ মিনিট .৩.১০ সেকেন্ড সময় নিয়ে রুপা এবং চট্টগ্রামের সামসুন নাহার ১ মিনিট .৩.৮০ সেকেন্ড সময়ে দৌঁড় শেষ করে ব্রোঞ্জপদক জয় করেন।
এদিন তরুণদের শটপুটে খুলনার তন্ময় বৌদ্ধ ১২.৫৮ মিটার দূরত্বে নিক্ষেপ করে স্বর্ণ জিতে নেন। তরুণীদের হাই জাম্পে ঢাকার জান্নাতুল ১.৪২ মিটার উচ্চতায় লাফিয়ে স্বর্ণ, একই বিভাগের বিথি আক্তার ১.৪০ মিটার উচ্চতায় উঠে রুপা এবং রংপুরের সম্পা খাতুন ১.৩৮ মিটার উচ্চতায় লাফিয়ে ব্রোঞ্জপদক জিতে নেন।
তরুণীদের লং জাম্পে খুলনার তিন্নি হাসান সুইটি ৫.১৫ মিটার দূরত্বে লাফিয়ে স্বর্ণ, রাজশাহীর সনিয়া আক্তার ৫.০৯ মিটার দূরত্ব লাফিয়ে রুপা এবং ঢাকার জান্নাতুল ৫.০৩ মিটার লাফ দিয়ে ব্রোঞ্জপদক জয় করেন।
উল্লেখ্য, দুই বছর পর পর অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নশিপে দেশের প্রতিনিধিত্বকারী জহির বিকেএসপি থেকে গত বছর এসএসসি পাস করেন। শেরপুর সদর উপজেলার নন্দীরবাজার এলাকার সন্তান জহিরের সঙ্গে কোচ হিসেবে যাচ্ছেন বিকেএসপির প্রশিক্ষক মতিউল আলম।
১৯৯৮ মস্কো বিশ্ব যুব গেমসে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সেমিফাইনালে উঠেছিলেন সাবেক অ্যাথলেট এবং জহিরের কোচ আবদুল্লাহ হেল কাফি। বাংলাদেশের রুগ্ণ অ্যাথলেটিকসে অনেক দিন পর জহিরের এমন ফল একটা বড় চমকের। ২০১৬ সালের জাতীয় জুনিয়র মিটে দ্বিতীয়বার অংশ নিয়ে ২০০ মিটারে রেকর্ড গড়েন জহির।
জহির বিকেএসপির প্রতিভা অন্বেষণ বাছাইয়ের মাধ্যমে শেরপুর জেলা থেকে ওই প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পান। এর আগে শেরপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নাজিমুল হক নাজিম বলেছিলেন, ‘সম্ভাবনা আছে জহিরের মধ্যে। তাকে নিয়ে বিকেএসপির অ্যাথলেটিক্স কোচ আবদুল্লাহ কাফি আশাবাদী।’
সেই আশার আবারও প্রমাণ দিলেন সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলার তরুণ অ্যাথলেট জহির রায়হান।