কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে শোকের সাগরে ডুবে আছে স্তম্ভিত আর্জেন্টাইনরা। কয়েক মাস ধরে আর্থিক সঙ্কট ও করোনা মহামারিতে র্জজরিত দেশটিতে মুহূর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে তাদের সুর্যসন্তানের মৃত্যুর খবর। যেখানে সকল সমস্যার মহাঔষধ হিসেবে দেখা হয় ফুটবলকে। সেই ফুটবলের দেশসেরা তারকার মৃত্যু সংবাদে হাঁতুড়ির ঘার মতো আঘাত করেছে তাদের হৃদয়ে।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১০টায় বুয়েন্স আয়ার্সের আকাশ বিদীর্ন হয় সাইরেন ও হর্নের আওয়াজ, শোকের মাতম ও লাইটের আলোতে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ১০ নম্বর জার্সির মহাতারকার সম্মানে ‘সর্বশেষ প্রশংসার দাবির’ আহ্বান ভাইরাল হলে এ শোকে সামিল হন ম্যারাডোনা ভক্ত আর্জেন্টনাবাসী। এএফপি সংবাদদাতারা জানান রাজধানীর আনাচে কানাচে রাতভর চলে ম্যারাডোনা বন্দনা।
শৈশবে ম্যারডোনা যেখানে ফুটবল খেলতেন এবং পরে পেশাদার ফুটবলে অভিষিক্ত হন সেই বোকা জুনিয়র্স ক্লাবের দিয়াগো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে জনসমুদ্রের মধ্যে শোকার্ত জনতা মাতম তোলেন ‘ম্যারাডুও ম্যারাডুও’ ধ্বনিতে।
২৮ বছর বয়সি ভক্ত ফান্সিসকো সালাভেরি এএফপিকে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না, এটি অবিশ্বাস্য। আমি যেন দুঃস্বপ্ন দেখছি। যেন একটি কৌতুক।’
আজেন্টাইন রাষ্ট্রপতি আলবার্তো ফার্নান্দেজ টিওয়াইএস চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিন দিনের রাষ্ট্রিয় শোক ঘোষণা করে বলেন, ‘আজকের এই দিনটি খারাপ দিন। আর্জেন্টিনাবাসির জন্য খুবই দুঃখের দিন।’
এ সময় গোটা শহরে ছড়িয়ে যায় শোকের ছায়া। নাম্বার দশকে শ্রদ্ধা জানাতে ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে পড়েনে সর্বত্র। অনেক ব্যানারে শুধু লেখা ছিল ‘ডি১০এস’। স্প্যানিশ ভাষায় ‘ডিআইওএস’ বা ডিওস মানে ঈশ্বরের জন্য। যেটি যুক্ত করা হয় ম্যারাডোনার জার্সিতে।
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]