সারাবিশ্বের এখন প্রধান সমস্যা প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস। এ ভাইরাসের এখন পর্যন্ত ওষুধ আবিষ্কার না হওয়া রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় শরীর ফিট রাখা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সারাদেশকে সুস্থ রাখার উদ্যোগে চালু করেছেন ‘ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্ট।’
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে আক্রান্তে সাধারণ মানুষের চেয়ে খেলোয়াড়দে মৃত্যুহার খুবই কম। এর প্রধান কারণ হলো, খেলোয়াড়দের ফিটনেস। তারা আক্রান্ত হলেও সুস্থ হয়ে উঠেন।
ভারতীয় ক্রিকেটারদের ফিটনেস ঠিক রাখতে এবং ফিটনেস পরীক্ষার একটি মাধ্যম হলো ইয়ো-ইয়ো পরীক্ষা। মূলত ইয়ো-ইয়ো পরীক্ষা ভারতীয় ক্রিকেট দলের ফিটনেস সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গেছে। সম্প্রতি সেই ইয়ো-ইয়ো পরীক্ষা সম্পর্কে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলির কাছে সেই বিষয়েই জানতে চান দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিরাটও তার সুফল প্রধানমন্ত্রী কাছে ব্যাখ্যা করেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ‘ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্ট’-এর এক বছর পূর্ণ উপলক্ষ পুরো দেশের ফিটনেস বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নেন মোদি। যেখানে হাজির ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
বিরাট কোহলির কাছে প্রধানমন্ত্রী জানতে চান, ‘এখন শুনি ক্রিকেট দলে ইয়ো-ইয়ো পরীক্ষা হয়। সেটা কী ব্যাপার?’
উত্তরে কোহালি বলেন, ‘ফিটনেসের দিক থেকে ইয়ো-ইয়ো পরীক্ষা খুব তাৎপর্যপূর্ণ। বিশ্বের ক্রিকেট খেলিয়ে সেরা দেশগুলোর যে ফিটনেস, তার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের ফিটনেস এখনও কিছুটা কম। তবে আমরা সেই ব্যবধানটা ক্রমে কমিয়ে ফেলছি এ পরীক্ষার মাধ্যমে।’
MUST WATCH: The Hon'ble Prime Minister of India Shri @narendramodi speaks with #TeamIndia captain @imVkohli as part of the Fit India Dialogue, marking one-year anniversary of #FitIndiaMovement.
— BCCI (@BCCI) September 24, 2020
Full videohttps://t.co/SkH9LcnXzq pic.twitter.com/0qOfsdSge6
ইয়ো-ইয়ো পরীক্ষার সময় ২০ মিটার দূরত্বে মাঠের মধ্যে দু’টি নিশান রাখা হয়। বাঁশি দেওয়া হলে খেলোয়াড়েরা এক প্রান্ত থেকে ছুটে অন্য প্রান্তে যান। ফের বাঁশি বাজলে সেখান থেকে আগের জায়গায় দৌড়ে ফিরতে হয়। তৃতীয় বাঁশি বাজলে আবারও অন্য প্রান্তে দৌড়ে যেতে হয়। দু’টি বাঁশির মাঝের সময় ক্রমে কমতে থাকে। ফলে গতি বাড়িয়ে লক্ষ্যে পৌঁছাতে হয় দ্রুত।
১৩তম আইপিএল খেলতে এ মুহূর্তে আমিরশাহিতে রয়েছেন বিরাট কোহালি। সেখান থেকেই অনলাইনে যোগ দিয়ে বিরাট বলেন, ‘আমিই প্রথম এটা শুরু করি। দলের সবাইকেই এ পরীক্ষা দিতে হয়। যদি আমি এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারি, তাহলে দল নির্বাচনের সময় আমার নাম বিবেচিত নাও হতে পারে। দলে এ ফিটনেস সংস্কৃতি চালু করা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এর ফলে ভারতীয় দলের ফিটনেস অনেকটাই উন্নত হয়েছে।’
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]