২০০৪ সালে স্টিভেন স্পিলবার্গ হলিউডে একটি ছবি বানিয়েছিলেন, নাম ছিল ‘টার্মিনাল’। ছবিটির মূল চরিত্র ফুটে ওঠে এক ব্যক্তিকে আমেরিকায় ঢুকতে নিষেধ করে নিউইর্য়কের জন কেনেডি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে নিজ দেশে সামরিক অভ্যুত্থানের জন্য ফেরত যেতে না পারায় ঐ বিমানবন্দরে এক বছরের বেশি সময় থাকেন তিনি।
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে ঐ ছবির ব্যক্তির মতোই ভারতের মুম্বাইয়ে বিমানবন্দরে ঘটলো এবার বাস্তাব ঘটনা। দেশের ফিরতে না পেরে বিমানবন্দরের লাউঞ্জেই ৭৪ দিন কাটিয়ে দিয়েছেন ঘানার ফুটবলার জুয়ান মুলার।
ভারতের কেরালার একটি ক্লাবে খেলেন তিনি। মার্চ মাসে ভারতে করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব বেড়ে গেলে ক্লাব ছেড়ে মুম্বাইয়ে চলে যান মুলার, গন্তব্য ছিল কেনিয়া। কেনিয়া যাওয়ার বিমানের টিকিটও কাটা ছিল তার। কিন্তু বিমানবন্দরে গিয়ে জানতে পারেন, সকল ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। অন্য কোথাও যাওয়ার সুযোগ ছিল না মুলারের।
বিষয়টি নিয়ে বিমানবন্দরের কর্মীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করেন ২৩ বছর বয়সী মুলার। এরপর বিমানবন্দরের কর্মীরা মুলারকে বিমানবন্দরের বাইরের লাউঞ্জে থাকার ব্যবস্থা করে দেন। শুধু থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েই ক্ষান্ত হননি বিমানবন্দরের কর্মীরা। তাকে তিন বেলা খাওয়া, মোবাইল রিচার্জ ও বাড়ির সাথে যোগাযোগের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়।
অবশেষে টানা ৭৪ দিন পর বিমানবন্দর ছেড়ে এক হোটেলে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে মুলারের। শিবসেনার যুব গোষ্ঠীর নেতাদের সহায়তায় হোটেলে ওঠেন তিনি। ৭৪ দিন বিমানবন্দরে থাকা ও পরে হোটেলে ওঠার বিষয়ে নিজের অভিমত ব্যক্ত করেছেন মুলার।
তিনি বলেন, ‘খুবই চিন্তায় ও বিপদে পড়ে গিয়েছিলাম। মনে হয়েছিল আমি মরে যাব। কিন্তু মুম্বাই বিমানবন্দরের কর্মীরা আমার চিন্তা দূর করে দেন। তারা আমাকে সহযোগিতা করেন। তাদেরকে কখনো ভুলবো না। এবার হোটেলে জায়গা পেয়ে আমি আরও খুশি।’
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]