ফাইনালে পুরো ম্যাচজুড়ে সমানে সমান লড়াই করেছে বাংলাদেশ এবং ওমান। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র করে দুই দল। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয় টাইব্রেকারে। সেখানে ৫-৩ ব্যবধানে ওমানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ।
রোববার (২০ মার্চ) ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় জেবিকে ফিল্ডে এএইচএফ হকির ফাইনালে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ এবং ওমান। টানা চতুর্থ শিরোপার খোঁজে থাকা বাংলাদেশের সাথে শুরু থেকেই সমানে সমান লড়াই করে ওমান।
এই টুর্নামেন্টে ২০০৮ সালে ওমানকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জেতে বাংলাদেশ। ২০১২ সালেও ফাইনালে ওমানের বিপক্ষেই আসে জয়। তৃতীয়টি আসে ২০১৬ সালে হংকংয়ে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এবার মিলল টানা চতুর্থ শিরোপার দেখা।
গ্রুপপর্ব থেকেই বেশ আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক ইন্দোনেশিয়াকে ৭-২ গোলে উড়িয়ে উড়ন্ত শুরু পেয়েছিলেন জিমি-মিমোরা। দ্বিতীয় ম্যাচেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখে লাল সবুজের দলটি। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষ জয় ৭-০ ব্যবধানে।
তৃতীয় ম্যাচে ইরানকে ৬-২ গোলে বিধ্বস্ত করে হোসেন সরোয়ারের দল। গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে ফাইনালের প্রতিপক্ষ ওমানের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। তাদের বিপক্ষে ওই ম্যাচে বাংলাদেশের হয় ছিল ৩-২ গোলে।
গ্রুপপর্বের উড়ন্ত ফর্ম ধরে রেখে সেমিফাইনালে কাজাখস্তানকে ৮-১ গোলে হারায় বাংলাদেশ। ফাইনাল নিশ্চিত করার সময়ই চলতি বছরের মে মাসে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া কাপ হকিতে নিজেদের জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ।
টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে ফাইনালে আসা বাংলাদেশ রোববার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলেছে। ১৪তম মিনিটে সোহানুর রহমান সবুজের ফিল্ড গোলে প্রথম কোয়ার্টারে লিড পেয়ে যায় লাল-সবুজ দল।
লিড অবশ্য বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি। দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শুরুতে দুর্দান্ত ফ্লিকে বাংলাদেশ গোলরক্ষক বিপ্লবকে বোকা বানিয়ে স্কোরশিটে নাম লেখান ওমানের আল লাওয়াতি ফাহাদ। ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয় দ্বিতীয় কোয়ার্টার।
তৃতীয় কোয়ার্টারে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেছে বাংলাদেশ। সুযোগ পেয়ে আশরাফুলদের রক্ষণ চেপে ধরে ওমান। ৪০তম মিনিটে তাদের আল ফরাজী রাশাদের দুর্দান্ত শট একটুর জন্য জালে জড়ায়নি।
চতুর্থ কোয়ার্টারে আক্রমণের ধার বাড়ায় ওমান। প্রথম মিনিটে লিডও পেয়ে যেতে পারত আল সাদী সালাহর দল। কিন্তু রাশাদের শট বাংলাদেশ গোলরক্ষক বিপ্লবের দেয়াল ভেদ করতে পারেনি। নির্ধারিত সময়ে আর কোনো গোল না হওয়ায় লড়াই গড়ায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারে প্রথম পাঁচটি সুযোগই কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে বিপ্লবের দৃঢ়তায় চতুর্থ শটে গোল করতে ব্যর্থ হয় ওমান। আর এতেই শিরোপার উল্লাসে মাতে বাংলাদেশ।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর