স্পোর্টসমেইল২৪
বঙ্গবন্ধু আইএইচএফ চ্যালেঞ্জ ট্রফি ওমেন্স টুর্নামেন্টের ইয়ুথ বিভাগে (অনূর্ধ্ব-১৭) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ফাইনালে ভারতের নারী দলকে ৪৩-৪৬ গোল ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ ইয়ুথ হ্যান্ডবল দল। প্রথমার্ধে ২০-২০ গোলের সমতায় ছিল দুদল।
বুধবার (১৭ মে) শহীদ (ক্যাপ্টেন) এম মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে এ ফাইনাল লড়াই অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ-ভারত প্রতিদ্বন্দ্বীতায়পূর্ণ ফাইনাল ম্যাচে নাটকীয় মোড় নিয়েছিল বেশ কয়েকবার। দুদলের তীব্র লড়াইয়ে একবার ভারত এগিয়ে যায় তো; আবারো সমতায় ফেরে বাংলাদেশ।
এক ঘণ্টার ম্যাচে প্রথমার্ধের ২০ মিনিটের সময় ১৬-১০ গোল ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন অধিনায়ক মোছাম্মৎ মারফি-রুনা লায়লারা। মুহুর্মুহ আক্রমণে ভারতের রক্ষণে কাঁপন ধরান ডালিয়া আক্তারের শিষ্যরা। ফলে ২০-২০ গোলের সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধের লড়াইটা ছিল আরও প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ। দুদলের খেলোয়াড়রা যেমন তাদের ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছেন, তেমনি দেখিয়েছেন পেশীশক্তিও। মেজাজ হারিয়ে প্রতিপক্ষের উপর চড়াও হতে গিয়ে মাশুলও গুণতে হয়েছে দুদলকে।
ম্যাচের ৪৪তম মিনিটে লাল কার্ডের শাস্তিতে ম্যাট ছাড়েন ভারতের প্রাধান্য বালাসো মানে। ফলে ৬ জনের দলে পরিণত হয় ভারত। বাংলাদেশের খেলোয়াড় ছিল ৭ জন। ওই সময়ও ম্যাচে পরিস্কার ৩৩-২৮ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে ছিল সফরকারীরা।
৫০তম মিনিটে ভারতকে চেপে ধরেন বাংলাদেশের মেয়েরা। এ সময় গোলের পর গোল করে ব্যবধান কমিয়ে আনে স্বাগতিকরা। ৫৫তম মিনিটে গিয়ে টানা তিন হলুদ (২ মিনিট করে মাঠের বাইরে থাকার শাস্তির ফল) দেখে ম্যাট ছাড়েন বাংলাদেশের টপ স্কোরার অধিনায়ক মারফি। তখনো পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ।
ম্যাচের একটা সময় মনে হয়েছিল লিগ পর্বের মতো ফাইনালেও ভারতের কাছে হারতে যাচ্ছে ডালিয়ার দল। তবে মারফির অনুপস্থিতিও বুঝতে দেননি রুনা লায়লা, তানিয়া, দ্বীপা রানীরা। পুরো ম্যাচে অসাধারণ পারফরম্যান্স ছিল বাংলার মেয়েদের।
ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৫ গোল করেন অধিনায়ক মারফি। এছাড়া রুনা লায়লা ১৪, তানিয়া ১০, দ্বীপা রানী ৫, ফাতেমা প্রেমা ও সানিয়া আক্তার সমান ১টি করে গোল করেন। ভারতের পক্ষে রেনুকা সর্বোচ্চ ১৬ গোল করেন।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের কোচ ডালিয়া আক্তার বলেন, “টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আমি বলেছিলাম চমক দেখাবে দল। সেটাই করে দেখিয়েছে তারা। মেয়েদের এমন পারফরম্যান্সে আমি অনেক খুশি।”
তিনি আরও বলেন, “আমার খেলোয়াড়ী জীবনে কখনো ভারতকে হারাতে পারিনি। তবে প্রথমবার কোচ হয়ে সেই অর্জনে নাম লেখাতে পেরেছি। ভারতকে যেকোনো খেলায় হারানো কঠিন। হ্যান্ডবলে তো আরও কঠিন। সেই কঠিন কাজটি আমার মেয়েরা করে দেখিয়েছি।”