আজকের রেসিং প্রজন্ম এগিয়ে যাচ্ছে সায়েন্সের রেস ধরে। এগুচ্ছে প্রযুক্তির লেভেল। কিন্তু কতটা এগুচ্ছে আমাদের নতুন প্রজন্মের মেধা ও মনন? বিষয়টা নিয়ে আমরা কতবার ভেবেছি? আমরা ভেবেছি শুধু ডিজিটাল ক্লাসের তালিকায় সন্তান কতটা এগিয়েছে, তা নিয়ে। চিন্তা করি প্রতিযোগিতার বাজারে চান্স পাওয়া নিয়ে, টিকে থাকার ক্ষমতা নিয়ে। আমরা কতটা ভেবেছি আমাদের আগামী প্রজন্মের মেধা বিকাশের জন্য দৈনিক পত্রিকাও ভূমিকা রাখতে পারে। কম্পিউটার গেমসে ডুবে থাকা সন্তানেরা কতটা শিখছে? কতটা বিনোদন নিয়ে প্রশান্তি খুঁজছে তারা? কতটা মেধাকে খাটাচ্ছে আমাদের আগামী?
আমরা আমাদের সবটা দিয়ে সন্তানের উন্নতি, মেধা, স্বাস্থ্য নিয়ে যত্নবান। তাতে কোন সন্দেহ নাই। আমাদের সন্তানদের খেলার মাঠ নাই। এটা মেনে নিয়ে অনেক বাবা মা কম্পিউটার নির্ভর ছেলেমেয়েকে ছেড়ে দিয়েছেন যন্ত্রের জগতে। কিন্তু লক্ষ্য করে দেখুন, আমাদের ঘরের দৈনিক পত্রিকা আমাদেরকে, আমাদের সন্তানদেরকে খেলা শেখাতে দারুণ পটু।
কিভাবে? সহজ উত্তর ‘শব্দ খেলা’। আমরা পত্রিকায় তাকালেই দেখি নেগেটিভ নিউজ। চিন্তা করি সন্তানের মানসিকতা নিয়ে। এত অঘটনের মাঝেও আছে খেলার উপাদান। প্রায় প্রতিটি পত্রিকায় আছে ছক খেলা, শব্দ খেলা, ধাঁধা, বুদ্ধির খেলা, জোঁকস। এ খেলার মাধ্যমে আমাদের সন্তানেরা শিখবে ধৈর্য, আত্মতৃপ্তি, সফলতা ও পাবে খেলার আনন্দ।
শুধুমাত্র কম্পিউটার বা মোবাইল গেমসে ডুবে না থেকে এসব খেলায় আগ্রহী করে তুলতে হবে ছেলে-মেয়েদেরকে। তথ্যবহুল্য, নতুন শব্দ পরিচিতি, বুদ্ধির খেলায় এগিয়ে থাকবে আপনার সন্তান। সহযোগিতা করুন সন্তানদেরকে। আপনিও অংশ নিন সন্তানের মেধার খেলায়। প্রতিযোগিতা করুন তার সাথে। এ খেলায় জয়ের আনন্দ আপনার সন্তানকে আরও বিনোদন দেবে। সজাগ করবে চেতনাকে।
অধ্যবসায়ের ফলে প্রাপ্ত রেজাল্টের আনন্দ বিলিয়ে দেবার প্রচেষ্টায় আসুন আমরা একটু সময় দেই। নতুন নতুন ধাঁধার উত্তর খুঁজে বের করার মজা ছোটবেলায় আপনিও পেয়েছেন বড়দের থেকে। তাহলে কেন এ খেলা থেকে বঞ্চিত হবে আমাদের সন্তান? খেলায় খেলায় শিখবে আমাদের সন্তানেরা। মেধার বিকাশে একধাপ এগুবে। তাই নয় কি?
লেখক : সাংবাদিক