শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে অধিনায়কত্ব করা মাহমুদুুল্লাহ রিয়াদ আজ (৪ ফেব্রুয়ারি) ৩৩ বছর বয়সে পা দিলেন। আর তার জন্মবার্ষিকীর দিনে ভালোই উপহার পেলেন মাহমুদুল্লাহ। তার নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ড্র করলো বাংলাদেশ।
হারের শঙ্কায় পড়ে যাওয়া টেস্টে ড্র’ও অনেক বড় অর্জন বাংলাদেশের। পাশাপাশি বড় অর্জন মাহমুুদুল্লাহ’ও। কারণ জন্মবার্ষিকীর দিন নিজের অভিষেক অধিনায়কত্ব করা টেস্টে ড্র উপহার পেলেন তিনি।
জন্মদিনের দিন এমন অর্জনকে কিভাবে দেখছেন মাহমুদুুল্লাহ? সে বিষয়েও কথা বললেন তিনি। বলেন, ‘যে রকম পরিস্থিতি থেকে আমরা ড্র পেয়েছি, অধিনায়ক হিসেবে সেখান থেকে ইতিবাচক ব্যাপারগুলোই নিতে চাই। পরবর্তী টেস্টে তা আমাদের কাজে দিবে। জিততে পারলে ভালো লাগতো। বোলারদের খুব কষ্ট হয়েছে। স্পিনাররা খুব কষ্ট করেছে। তাদের স্পিনাররাও। দুই দলের ব্যাটসম্যনরা ভালো করেছে। আমাদের সবার ব্যাটিং ভালো হয়েছে।’
বাংলাদেশের দশম অধিনায়ক হিসেবে চট্টগ্রাম টেস্টে অভিষেক হয় মাহমুুদুল্লাহ’র। অভিষেক টেস্টে ড্র করে সাবেক দলপতি মুশফিকুর রহিমের পাশে বসলেন মাহমুুদুল্লাহ। কারণ অভিষেক টেস্টে ড্র’র স্বাদ নিয়েছিলেন মুশফিকুরও। তবে মুশফিকুর বা মাহমুদুল্লাহ’র চাইতেও অভিষেক অধিনায়ত্ব করা টেস্টে আরও বড় অর্জন ছিল মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সাকিব আল হাসানের।
২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় মাশরাফির। কিংস্টনের টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হলেও পুরো ম্যাচ খেলতে পারেননি ম্যাশ। কারন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং ইনিংসে হাঁটুর ইনজুরিতে পড়েন মাশরাফি। এরপর বাকি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেন সাকিব আল হাসান। আর ম্যাচটি ৯৫ রানে জিতে বাংলাদেশ। যা রেকর্ড বইয়ে মাশরাফির নেতৃত্বে জয়ের কথাই লিপিবদ্ধ আছে।
মাশরাফি ইনজুরিতে পড়ায় ঐ সফরের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেন সাকিব। অধিনায়ক হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঐ টেস্টে ৪ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ। তাই জয় দিয়ে নিজের অধিনায়কত্ব পর্ব শুরু করেছিলেন সাকিবও।
মাশরাফি-সাকিব জয় দিয়ে, মুশফিকুর-মাহমুুদুল্লাহ ড্র দিয়ে শুরু করলেও বাংলাদেশের অন্য ছয় অধিনায়ক নিজেদের নেতৃত্ব শুরু করেছেন হার দিয়ে।
আজ ম্যাচ শেষে মাঠেই কেক কেটে মাহমুদুল্লাহর জন্মদিন উৎযাপন করা হয়। সেখানেও ছিল আনন্দ। টেস্টে ড্র করার অন্যতম নায়ক মমিনুল ও মাহমুদুল্লাহ একসঙ্গে কেক কেটে তার জন্মদিন পালন করা হয়। সর্বপরী বলা যায়, তার এ ৩৩তম জন্মদিনটি সর্বকালের সেরা হিসেবে গণ্য থাকবে মাহমুদুল্লাহর কাছে।