ক্রিকেটে বাংলাদেশ নারী দলের আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গণে এগিয়ে চলছে। নারী এশিয়া কাপ জয়ের পর এবার নারী টি-টোয়োন্টি বিশ্বকাপে খেলার নিজেদের যোগ্যতা অর্জন করেছে। নারীদের এ অর্জনের পুরো জাতি আজ গর্বিত।
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল ইতোমধ্যে ৮ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আয়ারল্যান্ডকে ২৫ রানে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এর ফলে তৃতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্বাগতিক হিসেবে। ২০১৬ সালে বাছাইপর্ব খেলে বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বে উঠেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। সেই ধারা এবারও বজায় রাখলো সালমা খাতুনের নেতৃত্বাধীন দলটি।
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল এগিয়ে চলছে তার আর বলার অপেক্ষ রাখে না। এক মাসে তিন শিরোপা জিতলো বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। গত মাসে মালয়েশিয়া থেকে এশিয়া কাপের সোনালী ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরেছে টিম টাইগ্রেস। নারী বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের আগে আয়ারল্যান্ড সফরে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ২-১ সিরিজ জিতে আরেকটি ট্রফি এবং এবার হাতে এলো আট দলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের রুপালি রঙের ট্রফি সঙ্গ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা।
আসলেই এটা অনেক বড় অর্জন, যা বাংলাদেশ নারী দলকে সামনে আরও ভালো করার অনুপ্রেরণা যোগাবে। নভেম্বরে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে ভালো কিছু করবে বলেই প্রত্যাশা করি।
নারী এশিয়া কাপে ফাইনালে ওঠেই ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করে ভারতকে হারিয়ে দেয়। প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠেই শিরোপা অর্জন। সেই ইতিহাসও লিখলো বাংলাদেশের মেয়েরা।
বাংলাদেশ পুরুষ দল যেখানে বারবার শিরোপার কাছে গিয়েও তা অর্জন করতে পারেনি। শেষ বলে গিয়ে, শেষ বেলায় গিয়ে দম ফুরিয়েছে বারবার। সেখানে নারী ক্রিকেটাররা অর্জনের খাতায় নিজেদের ইতিহাসের সঙ্গী করেছে।
২০০৭ সালের জুলাইয়ে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ নারী দলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। এতে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ দলের বিপক্ষে দু’টি খেলায় অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হয়েছিল। সেই থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল বেশ শক্তিশালীভাবেই প্রতিনিধিত্ব করে আসছে।
২০০৭ সালের এসিসি মহিলাদের প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ও শিরোপা জয় করে। ২০১১ সালের নারীদের ক্রিকেট বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রতিযোগিতায় ৫ম স্থান অধিকার করে। এর ফলে বাংলাদেশ দল নেদারল্যান্ডসের পরিবর্তে একদিনের আন্তর্জাতিকে খেলার মর্যাদা লাভ করে। বয়ে চলছে বাংলাদেশ লাল সবুজের পতাকা নিয়ে ক্রিকেট অঙ্গণে। এ দবয়ে চলা হোক আরও বহুদূর। ছাড়িয়ে যাক নিজেদের সীমানা, গর্জে ওঠুক বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে -এ প্রত্যাশা করি সব সময়। জয় হোক বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের।
[স্পোর্টমেইল২৪.কমে সকল মতামত লেখকের নিজস্ব। এর জন্য কর্তৃপক্ষ কোন দায় বহন করবে না। চাইলে আপনিও খেলাধুলার যেকোন বিষয় নিয়ে আপনার চিন্তা, যুক্তি বা মতামত লিখতে পারেন। আমরা আপনার মতামত তুলে ধরবো আমাদের পোর্টালে। খেলা পাঠাতে পারেন এই ঠিকানায়- sportsmailinfo@gmail.com]