২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে পর্দা উঠবে পাকিস্তান সুপার লিগ -পিএসএলের। আসন্ন এই আসরে দল পাওয়ার পর রোবাবর (১২ নভেম্বর) টুইটারে পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম পশতু ভাষায় পেশোয়ার জালমির কর্নধার জাভে আফ্রিদীকে ধন্যবাদ জানান সাকিব ও তামিম। আর তাতেই সমালোচনার ঝড়!
ডেভিড ওয়ার্নার বা তার কাউন্টির দল সাসেক্স যখন মোস্তাফিজকে নিয়ে বাংলায় টুইট করছিল, তখন আমরাই বাহবা দিয়েছিলাম। তাতে কিন্তু ঐ ইংলিশ ক্রিকেটার বা সাসেক্সের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের সমর্থন বা ভালোবাসা বেড়েছিল। অথচ সাকিব তামিম যখন অন্য কোন ভাষা ব্যবহার করেন, তখনই আমরা গালাগাল দেই, প্রশ্ন তুলি দেশপ্রেম নিয়ে।
জানা গেছে, পিএসএলে সাকিব তামিমকে পশতু ভাষায় লেখা ঐ টেক্সট পাঠিয়ে টুইটারে পোস্ট করার অনুরোধ করেছিল পেশোয়ার জালমি। একটি দলের সাথে চুক্তিবদ্ধ হলে, তারে প্রমোশন করতে হয়। যেমনটা করতে হয়েছে সাকিব-তামিমকেও।
আজ যদি সাকিব বা তামিম ভারতের কোন বিজ্ঞাপনে অংশ নিত এবং সেটা যদি হিন্দিতে হত, তখন কি বলতো এই সমালোচকরা?
১৯৫২ বা ১৯৭১ এর পর পাকিস্তান দেশটার প্রতি ঘৃণা আমাদের সবার। এই দেশটাকে আমিও ঘৃণা করি। কিন্তু খেলার মাঝে রাজনীতি বা শত্রুতা টেনে আনাতো বড় বোকামি। যখন টিভিতে আমার-আপনার মা-বোনরা হিন্দি সিরিয়াল দেখেন, তখন বুঝি আমাদের জাত যায় না? কিন্তু সাকিব তামিমরা অন্য কোন ভাষায় টুইট করলে বাংলাদেশের মান সম্মানে বড় আঘাত আসে!
সমালোচনা করে হয়তো সাকিব তামিমের চেয়ে বড় দেশপ্রেমিক আপনি হতে পারবেন না। ভুলে যাবেন না, এই সাকিব আল হাসান বা তামিম ইকবালরাই বাংলাদেশকে নতুন করে পরিচয় করিয়েছেন বিশ্ব ক্রিকেটে। পশতু ভাষায় টুইট করা নিয়ে আপনি তাদের দেশপ্রেমের প্রশ্ন তুলছেন! ভাবুন তো দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের জন্য আজ পর্যন্ত আপনি কী করতে পেরেছেন?
সবকিছুর পরেও দোষটা সাকিব তামিমের। কারণ ওনারা এমন একটা দেশে জন্মগ্রহণ করেছেন, যেখানে সামান্য পান থেকে চুন খসলেও সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হতে হয়!
লেখক : সাংবাদিক