ট্রাইনেশন সিরিজে শ্রীলঙ্কা হারলো, হাসলো বাংলাদেশ! খেলেছে জিম্বাবুয়ে-শ্রীলঙ্কা, হেরেছে হাথুরুসিংহে। তাও আবার সদ্যই সাবেক হওয়া দেশে প্রথম অ্যাসাইনমেন্টে ফ্লপ, দলটা আবার জিম্বাবুয়ে! মিরপুরের শততম ঐতিহাসিক ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মলিন হারে ধংশনে নীল হয়েছেন হাথুরুসিংহেও!
এই হাথুরুসিংহে কিছুনি আগেও ছিলেন বাঙালির বিশ্বাস আর ভালোবাসার অন্য নাম। অবাধ স্বাধীনতা কাড়ি কাড়ি টাকার পাহাড় পিছনে রেখে হয়েছেন শ্রীলংঙ্কার হেড কোচ। সবকিছু পেয়েও চুক্তির মেয়াদ শেষের আগেই বিদায়টা ভালোভাবে নেয়নি কেউই। বাঙালির ক্ষোভে আর আক্ষেপের বিস্ফোরণ তাই হাথুরুসিংহের উপর খানিকটা বেশি, যতটা না শ্রীলংঙ্কার উপর। হাথুরুসিংহে অবশ্য টান্ডা মাথার খুনি। শততম টেস্ট বাংলাদেশের ২০ উইকেট নেয়ার সামর্থ্য নেই বলে গোটা লকে তাতিয়ে দিয়েছিলেন! বছরের পর বছর দল নির্বাচনে সেচ্ছাচারিতা করেছেন, হাত ভরে সাফল্যের সাথে বিতর্ক ও এনেছেন বেশ খানিকটা।
এক সময় মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে গ্যালারি ভর্তি মানুষের ভালোবাসার মধ্যমনী থেকে হয়েছেন প্রতিপক্ষ। ট্রাইনেশন সিরিজে তাই শিরোপার চেয়েও বাঙালির মাথা ব্যাথা এখন শ্রীলঙ্কাকে হারানো বা হারা নিয়ে। ফ্যাক্টর হাথুরুসিংহে। বাঙালি বিশ্বাস করতে যেমন জানে, তেমনি বিশ্বাসঘাতককেও কখনও ছাড় দেয় না। নায়ক থেকে খলনায়ক বনে যাওয়া হাথুরুসিংহ অবশ্য মুদ্রার অপরপিঠটাও এর মধ্যেও দেখে নিয়েছেন। বাংলাদেশর ছোট বেলার খেলার সাথী, যাদেরকে আগের ম্যাচেও বড় ব্যবধানে হারিয়ে টাইগাররা সেই জিম্বাবুয়ের কাছে হার দিয়ে লঙ্কায় অভিষেক হলো হাথুরুর।
ঘরের মাঠ বলেন আর পরের মাঠ বলেন, শ্রীলঙ্কাকে যেকোন জায়গায় হারিয়ে সক্ষমতা দেখিয়েছে বাংলাদেশ! হাথুরু ক্যাপসুল খাওয়ার শ্রীলঙ্কা রাতারাতি বদলে যায়নি! যদিও এখন ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়ার মতো জায়ান্ট কিলার না হলে বাঙালির ক্রিকেটটা ঠিক জমে ওঠে না, তারপরও প্রশ্নটা যখন হাথুরুসিংহেকে নিয়ে, তখন শ্রীলঙ্কাকে হারানোর স্বাদ নিতেই চাইবে বাংলাদেশ! কারণ বাঙালি বিশ্বাসঘাতক পছন্দ করে না!
লেখক : সাংবাদিক