এশিয়ান আর্চারিতে ফোকাস থাকবে রোমান সানার উপরই বেশি। এরপরও মেয়েদের ইভেন্টে প্রত্যাশা বেশি থাকবে বিউটি রায়কে নিয়েই। এসএ গেমসে রুপাজয়ী এ আর্চার ঢাকায় হওয়া সর্বশেষ আন্তর্জাতিক আর্চারিতেও সোনা জিতেছেন দলগত ইভেন্টে।
এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশীপের কঠিন লড়াইয়ে নামার আগে বিউটি তার প্রস্তুতি ও প্রত্যাশা নিয়েই কথা বলেছেন একটি জাতীয় দৈনিকের সঙ্গে। সেখান থেকে তার এক চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো-
ঢাকায় আর্চারির সবচেয়ে বড় আসরে নামতে যাচ্ছেন, আপনি কতটা তৈরি?
বিউটি রায় : গত ১০ মাস ধরে আমরা অনুশীলন করেছি এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে। অনুশীলনে ধারাবাহিকভাবে ভালো স্কোর করেই জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছি। তাই এই আসরের প্রস্তুতিতে আমার কোনো ঘাটতি নেই। এখন চ্যালেঞ্জ হলো অনুশীলনে যে পারফরম্যান্সটা দেখিয়েছি সেটাই আরেকবার করে দেখানো।
রোমান সানা যেমন কোয়ার্টার ফাইনাল পেরোতে চান, আপনি?
বিউটি : ২০১৫ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল রোমান, মেয়েদের কেউ তা পারেনি। এবার আমার লক্ষ্য অন্তত সেরা দশে থাকা। বিশ্বের সেরা সব আর্চারদের মাঝে সেরা দশে থাকতে পারলে সেটিও হবে আমার জন্য বড় অর্জন।
অনুশীলনে ঠিক কত স্কোর হয়েছে আপনার?
বিউটি : আন্তর্জাতিক আর্চারিতে আমার সেরা স্কোর ৬১৯। গত এসএ গেমসে করেছিলাম ভারতের গোহাটিতে। অনুশীলনে ৬১৯, ৬২০ -এমন স্কোর হয়েছে।
প্রতিযোগিতার ভেন্যুটা নিয়ে অন্য আর্চারদের কাছে দুশ্চিন্তার কথা শুনেছি, আপনার কী মনে করেন?
বিউটি : এটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ই। আমরা যে লম্বা সময় ধরে ক্যাম্প করেছি, তার মধ্যে কিছুদিনের জন্য হলেও আমাদের বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুশীলনের ব্যবস্থা করে দিতে পারলে খুব ভালো হতো। এখন তা হয়নি যেহেতু আর কী করা।
ঢাকায় অনুষ্ঠিত সর্বশেষ আন্তর্জাতিক আর্চারিতে আপনি সোনা জিতেছেন, সেই পারফরম্যান্স এই আসরে নিশ্চিত অনুপ্রাণিত করবে?
বিউটি : মানের দিক দিয়ে চিন্তা করলে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশীপের সঙ্গে ঢাকায় হওয়া ওই ইসলামিক সলিডারিটি আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপের তুলনা হয় না। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশীপে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন আর্চাররা আসছেন। তাদের সঙ্গে লড়াইটা কঠিন। তবু ঢাকায় সর্বশেষ ওই টুর্নামেন্টের পারফরম্যান্স সাহস বাড়িয়েছে আমাদের।