করোনাভাইরাস হানা দেওয়ার আগে এবারের গ্রীষ্মকালীন দলবদলের বাজারে রিয়াল মাদ্রিদের পরিকল্পনাটা একটু বেশিই ছিল। ট্রান্সফার মার্কেটে তাদের মূল লক্ষ্য ছিল মধ্য মাঠকে শক্তিশালী করা এবং দলে একজন বাড়তি স্ট্রাইকার যোগ করা। কিন্তু এখন করোনার কারণে সবকিছুই পাল্টে গেছে। রিয়ালও তাদের পরিকল্পনা থেকে কিছুটা হলেও সরে এসেছে।
লস ব্ল্যাঙ্কোসদের পছন্দের তালিকায় ছিলেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের তরুণ তুর্কি আর্লিং হ্যালান্ড ও রেনের ১৭ বছর বয়সি এ্যাঙ্গোলার মিডফিল্ডার এডুয়ার্ডো কামাভিঙ্গা। কিন্তু তাদেরকে পেতে রিয়ালকে এখন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। শুধু এ দুজনই নন বায়ার লিভারকুসেনের ২০ বছর বয়সি জার্মান এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার কেই হাভার্টজও ছিলেন রিয়ালের দলবদলের তালিকার শীর্ষে।
করোনা সঙ্কট কাটিয়ে বুন্দেসলিগা মাঠে ফেরার পর থেকে হাভার্টজ লিভারকুসেনের হয়ে নিজেকে প্রমান করে চলেছেন। ফ্রেইবার্গের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ইনজুরিতে পড়ার আগে চার ম্যাচে করেছেন ৫ গোল। ইতোমধ্যেই বৈচিত্র্যময় এই মিডফিল্ডারকে জার্মান জাতীয় দলে ডাকা হয়েছে এবং ইউরোপ জুড়ে বিভিন্ন শীর্ষ ক্লাবগুলোর নজর রয়েছে তার উপর। এর মধ্যে বায়ার্ন মিউনিখ অন্যতম।
সাম্প্রতিক সময়ে বুন্দেসলিগায় কোন প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের উপর খুব কমই গুরুত্ব দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। গত গ্রীষ্মে অবশ্য লুকা জোভিচকে বেনফিকা থেকে উড়িয়ে এনেছিল গ্যালাকটিকোরা। এখন নতুন করে হাভার্টজ ও হ্যালান্ডের উপর চোখ পড়েছে। অবশ্য করোনা সঙ্কটের কারণে মাদ্রিদের আর্থিক দিকটি যদি খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্থ না হয় তবে এই দুজনকেই এবারের গ্রীষ্মে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দেখা যেতে পারে।
তবে এর মধ্যে রিয়ালের সাথে চুক্তি করতে হলে হাভার্টজকে হয়তো আরও এক বছর অপেক্ষা করতে হতে পারে। কিন্তু এতে আবার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। ইতোমধ্যেই বায়ার্ন তার ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া শুরু করেছে। লিভারকুসেনকে তারা এই আগ্রহের ব্যাপারে জানিয়েও দিয়েছে।
হাভার্টজ নিজে অবশ্য জানিয়েছেন আগামী মৌসুমে তিনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে চান। বর্তমানে লিভারকুসেন বুন্দেসলিগার শীর্ষ চারের মধ্যে আছে। কিন্তু যেকোন সময় পয়েন্ট তালিকায় পরিবর্তন আসতে পারে।
sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]