বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের নাগরিক রোহঙ্গিা জনগোষ্ঠীকে সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের পুর্তগাল সুপার স্টার ক্রিস্টিয়নো রোনালদো।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টিগ্রাম ও টুইটারে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে এই মানবিক সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান ৩৩ বছর বয়সি এই বিশ্ব নন্দিত ফুটবল তারকা। সেখানে তিনি মায়ানমারের রাখাইন অঞ্চল থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া সন্তান কোলে নেয়া এক পিতার ছবির পাশে নিজের সন্তানদের নিয়ে একটি ছবিও পোস্ট করেন।
ছবির ক্যাপসনে ৫ বারের ব্যালন ডিঅঁর খেতাব জয়ী রোনালদো লিখেছেন ‘একটাই পৃথিবী। যেখানে আমরা সবাই নিজের সন্তানদের ভালবাসি। অনুগ্রহ করে রোহিঙ্গাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।’
মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারী ও আধা-সরকারী বাহিনীর নৃশংস অত্যাচারে টিকতে না পেরে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে কমবেশি ৭ লাখ রোহিঙ্গা। যাদের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৬ লাখেরও বেশি মানুষের জরুরি ত্রাণ সহায়তার প্রয়োজন। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে সাড়ে ১৬ হাজার শিশু রয়েছে যাদের বয়স ৫৯ মাসের কম।
রোনালদো হচ্ছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ক্রীড়াবিদদের একজন। খেলাধুরার বাইরে তিনি বিভিন্ন ধরনের দাতব্য কর্মকান্ডের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। যে কারণে তাকে বলা হয় সবেচেয়ে বেশি ‘চ্যারিটেবল ক্রীড়াবিদ’। সেভ দ্য চিল্ড্রেন, ইউনিসেফ, ওয়ার্ল্ড ভিশন এবং ২০১৫-সহ বিপুল সংখ্যক দাতব্য সংস্থার শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করে আসছেন রোনালদো।
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপকুলে স্কুলঘর নির্মাণে অর্থ সংগ্রহের জন্য রোনালদো ২০১১ সালে তার ইউরোপীয় গোল্ডেন বুট ট্রফিটি নিলামে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। সেখানে এর মূল্য উঠেছিল ১২ লাখ পাউন্ড। মুমূর্ষ শিশুদের জরুরী চিকিৎসা সেবা দিতে তহবিল সংগ্রহের জন্য রোনালদো নিলামে দিয়েছিলেন তার ২০১৩ সালের ব্যালডিঅঁর খেতাবের ট্রফি।