লা লিগায় গত বছর স্প্যানিশ দুই ক্লাব ভিয়ারিয়াল ও গেতাফের মধ্যকার ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়। আর তাতেই তাদের উপর ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ তোলা হয়। তবে দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যমে শুক্রবার (১৫ মে) ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে উভয় ক্লাব।
এ সম্পর্কে ক্লাবের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে যে অভিযোগ উঠেছে তা ক্লাবের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখান করা হচ্ছে। গত মৌসুমের শেষ দিনে গেতাফের বিপক্ষে ম্যাচ পাতানোর সাথে ভিয়ারিয়ালের কোন সম্পর্ক নেই। লিগের বেশ কয়েকটি মৌসুমেই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু প্রতিযোগিতার স্বচ্ছতা, নীতি, গুরুত্ব ও ফেয়ার প্লে’র আদর্শ নষ্ট হয় এমন কোন কাজের সাথে ভিয়ারিয়াল কখনই আপোষ করেনি।’
গেতাফের পক্ষ থেকেও এই ধরনের ঘটনার সাথে কোনভাবেই সম্পৃক্ত না হওয়ার বিষয়ে বিবৃতি দেয়া হয়েছে। স্প্যানিশ দৈনিক এল পেইসে বলা হয়েছে গত বছর বিভিন্ন ম্যাচের সাথে ফিক্সিংয়ের দায়ে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। লা লিগাও বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে তারা এর বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। তদন্ত শেষ না পর্যন্ত বিষয়টি তারা জনসম্মুখে আনতে চাচ্ছে না।
ইউরোপের এলিট প্রতিযোগিতায চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ক্লাব প্রতিযোগিতায় খেলার যোগ্যতা অর্জণ করতে হলে গেতাফেকে অবশ্যই শেষ ম্যাচে ভিয়ারিয়ালকে পরাজিত করতে হতো। আর জিততে পারলেই তারা ভ্যালেন্সিয়াকে পিছনে ফেলে ইউরোপীয়ান প্রতিযোগিতায় খেলার যোগ্যতা অর্জন করতো।
ভিয়ারিয়ালের অবশ্য এই ম্যাচে জয়-পরাজয় কোন অর্থ বহন করত না। ওই একইদিন ভ্যালেন্সিয়া ২-০ গোলে রিয়াল ভায়াদোলিদকে পরাজিত করে। আর সে কারণেই ভিয়ারিয়ালকে পরাজিত করলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আর খেলার সুযোগ ছিল না গেতাফের।
২০১৩ ও ২০১৪ সালে ম্যাচ পাতনোর অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় গত মাসে ওসাসুনার পাঁচজন পরিচালক ও রিয়াল বেটিসের সাবেক দুই খেলোয়াড়কে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে। স্প্যানিশ ফুটবলে এই প্রথম দূর্নীতির দায়ে কাউকে শাস্তি প্রদান করা হলো।
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]