হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হার মানলেন ভারতের কিংবদন্তি ফুটবলার পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় দেড় মাস চিকিৎসাধীয় থাকার পর শুক্রবার (২০ মার্চ) শেষ হয় তার জীবন যুদ্ধ। ৮৩ বছর বয়সে চলে গেছেন না ফেরার দেশে।
বুকে সংক্রমণ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই ভারতীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। পারকিনসনে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। ভারতবর্ষে দারুণ সম্মানিত ফুটবলার ও কোচ পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পশ্চিমবঙ্গে।
ভারতের জার্সি গায়ে পিকে ৪৫টি ম্যাচ খেলেছেন। গোল করেছেন ১৪টি। পাঁচ ফুট সাড়ে আট ইঞ্চি উচ্চতার এ স্ট্রাইকার ১৯৫৮, ৬২ এবং ৬৬ সালে ভারতের হয়ে এশিয়াডে খেলেছেন।
১৯৬২ সালের জাকার্তা এশিয়াডে চুনি গোস্বামী, তুলসীদাস বলরাম, জার্নাল সিংদের নিয়ে সোনার পদক এনে দিয়েছেন পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়।
এছাড়া কলকাতার ফুটবলেও অপ্রতিরোধ্য ছিলেন তিনি। ১৯৫৪ সালে শুরু হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন দীর্ঘদিন। তার পথ ধরে ১৯৬১ সালে অর্জুন আর ১৯৯৪ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছেন। খেলা ছেড়ে কোচ হিসেবেও বেশ সফল পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। তার হাত ধরেই সাফল্যের চূড়া ছুঁয়েছেন বাইচুং ভুটিয়ারা।
১৯৩৬ সালের ২৩ জুন জলপাইগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। এ কিংবদন্তি ফুটবলার ও কোচের পারিবারিক নাম প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ফুটবল অঙ্গনে তিনি পিকে বন্দ্যোপাধ্যায় বা পিকে ব্যানার্জি নামেই পরিচিত ছিলেন।