ভয়ঙ্কর করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করছে পুরো বিশ্ব। সে লড়াইয়ে এবার আক্রান্ত হলো এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। করোনাভাইরাসে থাবায় স্থগিত করা হলো এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবলের ছয়টি ম্যাচ।
ইরানে করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করায় সেখানকার আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ বাতিল করেছে চারটি ক্লাবের ম্যাচ। শুধু তাই নয়, এ ভাইরাসে বিঘ্ন ঘটতে পারে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও।
মার্চে শুরু হওয়ার কথা ছিল বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব। এদিকে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম ও অস্ট্রেলিয়ার অংশগ্রহণে অলিম্পিকের মহিলা ফুটবলের প্লে অফ ম্যাচ সূচিরও পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে।
এএফসির সাধারণ সম্পাদক উইন্ডসোর জন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এখন আমরা অভূতপূর্ব ও চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্যে আছি। তবে এএফসি নিরলসভাবে বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।’
দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে রুদ্ধদ্বার মাঠে। ইরানী ক্লাবগুলোর অংশগ্রহণে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল চারটি ম্যাচ। চীনের বাইরে ওই দেশটিতেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মারা গেছে বেশি সংখ্যক লোক। এ পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। যে কারণে সবগুলো খেলাই বাতিল করা হয়েছে।
থাইল্যান্ডের চিয়াংগারি ইউনাইটেডের সঙ্গে এফসি সিউলের হোম ম্যাচের সূচিও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৬ এপ্রিল সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরের সঙ্গে খেলার কথা ছিল ইরানি ক্লাব সেপোহানের। এটিও স্থগিত করা হয়েছে।
সোমবার কুয়ালালামপুরে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন এএফসির ইস্ট জোনের সদস্যরা। আর মঙ্গলবার আলোচনায় বসবে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলো। ইতোমধ্যেই করোনাভাইরাস ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে ক্রীড়াঙ্গনে। যার মধ্যে রয়েছে ফর্মুলা ওয়ান, ছয় জাতির রাগবি এবং ইউরোপের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবল।
এদের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে নারীদের অলিম্পিক বাছাইপর্ব। টুর্নামেন্টটি কয়েকদফা ধাক্কা খেল। বাছাইপর্বের এ টুর্নামেন্ট মূলত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল চীনের উহান প্রদেশে। যেখানে প্রথম শুরু হয়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমন। এরপর এটিকে সরিয়ে নেওয়া হয় নানজিংয়ে। সর্বশেষ এটিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সিডনিতে।
টুর্নামেন্টে অংশ নিতে অস্ট্রেলিয়ায় পৌছেই চীনা দলকে সকলের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। যদিও দক্ষিণ কোরিয়ায় হোম লেগ খেলেই সিডনিতে গেছে দলটি।