ঘরের মাঠে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে হেরে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে বুধবার রাতে ২-১ গোলে জিতেছে সিটি। একই সঙ্গে রিয়ালের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় জিতলো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলটি।
খেলার শুরু থেকে রক্ষণভাগ জমাট রাখে ম্যানচেস্টার সিটি। তারা প্রথম ভালো সুযোগ পায় ২১তম মিনিটে। তবে কেভিন ডে ব্রুইনের ডিফেন্স চেরা পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গাব্রিয়েল জেসুসের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে সে যাত্রায় রক্ষা করেন থিবো কর্তোয়া।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আবারও বড় বাঁচা বেঁচে যায় রিয়াল। ডে ব্রুইনের কর্নারে কর্তোয়া লাফিয়ে উঠে গ্লাভস ছোঁয়ানোর পর পেয়ে যান জেসুস, সিটির এ ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের শট রামোসের পায়ে লেগে গোলমুখে যাওয়ার পথে কাসেমিরো টোকা দেওয়ার পর বিপদমুক্ত করেন ফেদেরিকো ভালভেরদে।
এর মধ্যে খেলার ৬০তম মিনিটে এগিয়ে যায় রিয়াল। দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে ভিনিসিউস জুনিয়রের নিখুঁত পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন ফাঁকায় থাকা স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ইসকো।
৭২তম মিনিটে বের্নার্দ সিলভাকে তুলে নিয়ে স্টার্লিংকে নামায় সিটি। রিয়াল ভিনিসিউস জুনিয়রের বদলি নামায় বেলকে। এর ছয় মিনিট পর সমতার স্বস্তি ফেরে সিটির তাবুতে। বাঁ দিক থেকে ডে ব্রুইনের ক্রসে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন জেসুস।
৮৩তম মিনিটে স্পট কিক থেকে সিটিকে এগিয়ে নেন ডে ব্রুইনে। ডি বক্সে স্টার্লিংকে কারভাহাল ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। রিয়ালের খেলোয়াড়দের দাবির মুখে ভিএআর দেখলেও বদলায়নি সিদ্ধান্ত।
শেষ দিকে আরেকটি ধাক্কা খায় রিয়াল। ভুল পাস থেকে বল পেয়ে জেসুস ছুটছিলেন রিয়ালের গোলমুখে। তাকে পেছন থেকে টেনে ধরে সরাসরি লালকার্ড দেখেন রামোস। রিয়ালের হয়ে বর্ণিল ক্যারিয়ারে এ নিয়ে ২৬তম বার লালকার্ড দেখলেন তিনি।