সাউল নিগুয়েজের একমাত্র গোলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ১৬’র প্রথম লেগে লিভারপুলকে ১-০ গোলে পরাজিত করেছে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। এ জয়ে উড়তে থাকা লিভারপুলের জয়রথ যেমন থেমেছে একই সাথে মাদ্রিদের দলটি ইউরোপীয়ান সর্বোচ্চ আসরের কোয়ার্টার ফাইনালের পথেও একধাপ এগিয়ে থাকলো।
ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানোতে ম্যাচ শুরুর চার মিনিটের মধ্যেই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার নিগুয়েজের গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিক অ্যাথলেটিকো। পুরনো ধাচের মাদ্রিদের কাছে মূলত লিভারপুলের আধুনিক ফুটবল মুখ থুবড়ে পড়ে। বিশেষ করে স্বাগতিকদের রক্ষণভাগের সামনে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা ছিল একেবারেই অসহায়। একটি শটও তাদেরকে করতে দেয়নি সিমে ভ্রাসালিকো, স্টিফেন সাভিচ, ফিলিপদের নিয়ে সাজানো অ্যাথলেটিকোর শক্তিশালী রক্ষণভাগ।
ম্যাচ শেষে অ্যাথলেটিকোর গর্বিত কোচ দিয়েগো সিমিওনে বলেছেন, ‘আজকের রাতটা সেই রাতগুলোর মধ্যে একটা যাকে ভোলা যায় না। আমরা হয়ত বড় ব্যবধানে জিততে পারিনি, কিন্তু আমরা বিশ্বের সেরা দলকে হারিয়েছি।’
গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আলভারো মোরাতাকে পরিবর্তন করতে বাধ্য হন সিমিওনে। তা না হলে অ্যাথলেটিকো হয়ত দুই গোলের লিড নিয়ে আগামী মাসে অ্যানফিল্ডে খেলতে যেতে পারত।
এদিকে লিভারপুল বস জার্গেন ক্লপ বলেছেন, ‘আমরা আজ ৫-০ গোলে হারিনি। ম্যাচটিকে আমরা মোটেই সহজভাবে নেইনি। কিন্তু যখনই ১১ জন খেলোয়াড় লিভারপুলের জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছে তখন থেকেই তাদের সবকিছু দেয়া উচিত ছিল। আর লিভারপুলের সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলছি যারাই আগামী ম্যাচের টিকিট পেয়েছেন তাদের সবাইকে অ্যানফিল্ডে স্বাগতম।’
লিভারপুল যদি প্রতিযোগিতার শেষ পর্যন্ত ফেবারিট হয়ে থাকে তবে অ্যাথলেটিকো সমর্থকরাও কাল শেষ বাঁশি বাজা পর্যন্ত প্রমাণ করেছে তারাও কোন অংশে কম নয়। সিমিওনের দল তাদেরকে সেই বিশ্বাস এনে দিয়েছে। মূল কথা এ ম্যাচের পর আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে ক্লাব ফুটবল ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আসর মোটেই এক নয়। এখানে যে কেউই যেকোন সময় নিজেদের ফেবারিট দাবি করতে পারে।
এখন পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগে অপরাজিত থেকে ২৫ পয়েন্ট এগিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখা লিভারপুলের বিপক্ষে তাদের মাঠের ফলাফল কি হবে সেটা সময়ই বলে দেবে। কিন্তু অ্যাথলেটিকোর খেলোয়াড়রা যেভাবে সামনে থেকে নিজ নিজ পজিশনে দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছে তাতে পরের লেগে আত্মবিশ্বাসে কিছুটা হলেও স্প্যানিশ দলটিই এগিয়ে থাকবে।
যদিও এবারের মৌসুমে ইতোমধ্যেই ৬টি ম্যাচে পরাজিত হয়ে লা লিগায় শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের তুলনায় ১৩ পয়েন্ট পিছিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে অ্যাথলেটিকো। তারপরও সিমিওনের অধীনে ২০১৪ সালে স্প্যানিশ শিরোপা জয় করা দলটিকে দিয়ে যেকোন মুহূর্তে যেকোন কিছুই করা সম্ভব।