প্রথমার্ধেই তিন গোলে পিছিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল পিএসজি। তবে দুর্দান্তভাবে ঘুরেও দাঁড়িয়েছে তারা। এক সময় জয়ে সম্ভাবনাও জাগিয়েছিল। তবে শেষ দিকে গোল হজম করে পয়েন্ট ভাগ করে মাঠ ছেড়েছে পিএসজি। অন্যদিকে তিন গোলে এগিয়ে থেকেও জয়ের দেখা পায়নি এমিয়েন্স।
চোটের কারণে একাদশে ছিলেন না নেইমার। কিলিয়ান এমবাপের চোট না থাকলেও রাখা হয়েছিল বিশ্রামে। নেইমার-এমবাপেকে ছাড়া পিএসজিকে পেয়ে একের পর এক গোল দিতে থাকে এমিয়েন্স। প্রথমার্ধে নিজেদের সুরক্ষিত রেখে পিএসজির জালে টানা ৩টি গোল করে তারা।
ম্যাচের শুরুতেই পঞ্চম মিনিটে গিহাসির গোলে এগিয়ে যায় এমিয়েন্স। এরপর ২৯তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গায়েল কাকুতা। পিএসজিকে কোন সুযোগ না দিয়ে ৪০তম মিনিটে আরও একটি গোল দিয়ে বসেন ফোসেনি দিয়াবাতি।
প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে পিএসজি। তবে বিরতিতে যাওয়ার শেষ সময়ে পিএসজিকে গোলে ফেরান আন্দ্রে হেরেরা। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ডি-বক্সের ভেতর থেকে ডান পায়ের শটে গোল করেন তিনি।
বিরতিতে থেকে ফিরে এমিয়েন্সকে চেপে ধরে পিএসজি। ম্যাচের ৬০তম মিনিটে কাউয়াসির হেডে ব্যবধান আরও কমায় দলটি। এর ৫ মিনিট পর অর্থাৎ ম্যাচের ৬৫তম মিনিটে পিএসজিকে সমতায় ফেরান এ ফরাসি ফরোয়ার্ড।
স্বস্তির সমতায় ফেরার পর ৭৪তম মিনিটে এগিয়ে যায় পিএসজি। হুয়ান বের্নার্তের বাড়ানো বল ধরে জাল খুঁজে নেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মাউরো ইকার্দি। গোলের স্করলাইন দাঁড়ায় ৪-৩।
তবে শেষে যোগ করা সময়ে বাঁ পায়ের শটে এসিয়েন্সকে সমতায় ফেরান গিয়াসি। ফেল স্করলাইন দাঁড়ায় ৪-৪ গোলে। ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় দুই দলের।
চলতি লিগে পিএসজির এটি দ্বিতীয়বারের মতো পয়েন্ট ভাগাভাগি। এছাড়া এ ড্রয়ে ২৫ ম্যাচে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে লিগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে রয়েছে পিএসজি। দুয়ে থাকা মার্শেইয়ের পয়েন্ট ২৪ ম্যাচে ৪৯।