স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের ফাইনালে উঠেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। বহু নাটকীয়তার সেমিফাইনালে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে হারিয়ে স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে উঠেছে চট্টগ্রাম আবাহনী।
আজ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বন্দর নগরীর দলটি জয় পায় ১-০ গোলের। ম্যাচ জয়ী একমাত্র গোলটি করেন শাখাওয়াত রনি। আগামি ১০ ফেব্রুয়ারি একই ভেন্যুতে মুকুট ধরে রাখার লক্ষ্যে আসরের সবচেয়ে চমক জাগানিয়া দল আরামবাগের মুখোমুখি হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচটি শুরু হবে বিকাল ৪টায়।
আজকের ম্যাচে বল মাঠে গড়ানোর ১১ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার প্রথম সুযোগটি পায় রহমতগঞ্জ। চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক আশরাফুল রানার গ্লাভস থেকে বল বেরিয়ে যাওয়ার পর পেয়ে যান মোহাম্মদ হেলাল। কিন্তু এই ফরোয়ার্ড নিশানা ভেদ করতে পারেননি। পরের মিনিটেই বন্দর নগরীর দলটিকে হতাশ করেন জাফর ইকবাল। ডান দিক থেকে মিডফিল্ডার মোহাম্মদ আব্দুলাহ’র ক্রসে ফরোয়ার্ড জাফর ইকবালের ছোট ডি বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া হেড লক্ষে থাকেনি।
অবশেষে নাটক শুরু ম্যাচের ৩৯ মিনিটে। চট্টগ্রাম আবাহনীর ডিফেন্ডার সুশান্ত ত্রিপুরার একটি ক্রস রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক গোলাম মোস্তফা প্রতিহত করতে ব্যর্থ হন। গোললাইন থেকে সে বল হাত দিয়ে ফিরিয়ে দেন ডিফেন্ডার মোজাম্মেল নিরা। সাথে সাথেই রেফারি সুজিত ব্যানার্জি চন্দন পেনাল্টির নির্দেশ দেন। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন পুরান ঢাকার দলটির ফুটবলাররা। এজন্য প্রায় দশ মিনিট বন্ধ থাকে খেলা।
খেলা শুরু হলে স্পট কিক থেকে গোল আদায় করে নেন শাখাওয়াত হোসেন রনি (১-০)। চলতি এ আসরে এটি এই ফরোয়ার্ডের দ্বিতীয় গোল।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে উঠে রহমতগঞ্জ। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েছিল কামাল বাবুর শিষ্যরা। ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনার এ সুযোগটিও হাতছাড়া হয় পুরান ঢাকার দলটির। এবারও রহমতগঞ্জকে হতাশ করেন গোলরক্ষক রানা। মোহাম্মদ ইলিয়াসের স্পট কিক ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্ণারের বিনিময়ে রক্ষা করেন তিনি। এরপর আর গোলের সুযোগ না পেলেও টানা দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের কারনে লাল কার্ডের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় রহমতগঞ্জের ডিফেন্ডার অ্যানিকে।
এবারের আসরের বড় চমকের নাম আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। কোয়ার্টার ফাইনালে তারা ঢাকা আবাহনীকে ৩-০ গোলে পরাস্ত করে আলোচনায় উঠে আসে। আর সেমিফাইনালের মতো বিগ ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ১-০ গোলে ধরাশায়ী করে ফাইনালে পা রাখে ক্লাবপাড়ার দলটি।