চলতি সপ্তাহের শেষভাগে প্রিমিয়ার লিগে টানা ২০ ম্যাচে জয়ে ম্যানচেস্টার সিটির রেকর্ডে ভাগ বসানোর সুযোগ রয়েছে লিভারপুলের। এ সময় ঘরোয়া টুর্নামেন্টে শীর্ষ চারে আসন স্থায়ী করার লক্ষ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামবে তালিকার শীর্ষস্থানীয় ক্লাবগুলো। যাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পরবর্তী আসরে খেলার সুযোগ নিশ্চিত করা যায়।
এখন পর্যন্ত ২৪ ম্যাচের ২৩টিতে জয়লাভ করা জার্গেন ক্লপের শিষ্যরা শনিবার অ্যানফিল্ডে মুখোমুখি হবে ফর্মে থাকা সাউদাম্পটনের। ম্যাচে তাদের সুযোগ থাকবে ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে ২২ পয়েন্টের বেশি ব্যবধান রচনা করার। অন্যদিকে পেপ গার্দিওলার সিটি মোকাবেলা করবে টটেনহ্যামের এবং তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা লিস্টার আথিথেয়তা দেদবে চেলসির। আরেক জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মুখোমুখি হবে উলভসের।
শেষ পর্যন্ত ব্রুনো ফার্নেন্দেসকে চুক্তিবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। যিনি এ সপ্তাহেই দলের সঙ্গে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন। সমর্থকরা আশা করছেন তিনি প্রতিপক্ষের রক্ষণব্যুহ ভাঙতে সক্ষম হবেন। পল পগবা ও স্কট ম্যাক টমিনির ইনজুরিতে এমনিতেই আঁটশাট হয়ে আছে ওলে গুনার সুলশারের সামর্থ্য। যে কারণে মধ্যমাঠেই হাবুডুবু খেতে হয়েছে দলকে।
নরওয়ের কোচ বলেছেন, ‘ব্রুনোর গোল করা এবং সতীর্থদের সহায়তার দক্ষতা সবাইকে আশান্বিত করছে। তিনি হতে পারেন আমাদের দলের জন্য চমৎকার সংযুক্তি। মৌসুমের দ্বিতীয় পর্বে দলকে এগিয়ে নিতে তিনি ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে আশা করছি।’
লিস্টার সিটির কোচ ব্রেন্ডন রজার্স চাচ্ছেন লিগ কাপে ব্যর্থতার ক্ষত কাটিয়ে উঠতে। ওয়েম্বলিতে লিগ কাপের ফাইনালে খেলার প্রবল ইচ্ছা থাকলেও তার সেই ইচ্ছা পূরণ হয়নি অ্যাস্টন ভিলার কাছে দুর্ভাগ্যজনক পরাজয়ে। শনিবার চেলসির বিপক্ষে লিগের ম্যাচে সেই হতাশা দূর করতে চায় লিস্টার। যার মাধ্যমে শীর্ষ চারের আসনটিও সংহত করার সুযোগ হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে তালিকার তৃতীয় স্থানের দলটির পারফর্মেন্স হতাশার হলেও এখনো পর্যন্ত তালিকার পঞ্চম অবস্থানে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চেয়ে ১৪ পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে। রজার্স বলেছেন, ‘প্রতিপক্ষ দলটির অবস্থান কতটা নিচে রয়েছে সেটি বিবেচ্য নয়। আপনাকে নিজেরটা দিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’
অ্যাস্টন ভিলার কাছে মঙ্গলবার পরাজয় প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘এটিই খেলোয়াড়দের জীবন। আপনি যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাবেন তখন হতাশা আসবেই। সুতরাং দ্রুত সেটিকে কাটিয়ে উঠতে হবে।’
২০১৬ সালে ম্যানচেস্টারে যখন পেপ গার্দিওলা ও হোসে মরিনহোর দেখা হয়েছিল, তখন দুই কোচের দলই ছিল টুর্নামেন্টের কেন্দ্রবিন্দুতে। তবে এবার তাদের মোকাবেলা হতে যাচ্ছে নিচের অবস্থানে থেকে। এবারের লিগ শিরোপার দৌঁড়ে অনেক দূর এগিয়ে গেছে লিভারপুল। তাই এখন স্থান নির্ধারণ ও নিজেদের আলোচনায় আনার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবেন এ দুই কোচ।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা গার্দিওলার শিষ্যদের অবশ্য প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে ফেরার ক্ষীণ সুযোগ থাকলেও এর ধারে কাছে নেই মরিনহো ব্যাটলিয়নের। ধারাবাহিকতাহীন দলটির এখন প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে শীর্ষ চারে জায়গা করে নেওয়া।