শ্বাসরুদ্ধকর ও দারুণ নাটকীয়তার ম্যাচে বার্সেলোনাকে ৩-২ গোলে হারিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে উঠেছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। এগিয়ে থাকলেও শেষ দিকে মাত্র ৫ মিনিটের ব্যবধানে সব শেষ হয়ে যায় মেসিদের।
খেলার প্রথমে পিছিয়ে পড়ার পরও লিওনেল মেসির নৈপুণ্যে ম্যাচে ফিরে বার্সেলোনা। আর খানিক পর গ্রিজমানের গোলে এগিয়ে যায় তারা। তবে শেষ দিকে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুইবার জালে বল পাঠিয়ে অসাধারণ এক জয় তুলে নেয় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।
অ্যাটলেটিকোর পক্ষে গোল তিনটি করেন- কোকে, মোরাতা ও আনহেল কোররেয়া।
ম্যাচের শুরু থেকে বার্সেলোনার অধিপত্য থাকলেও গোল করতে ব্যর্থ হয়। ফলে প্রথমার্ধে কোনো দলই গোল না পেলে গোল শূন্য থাকে। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যায় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।
আনহেল কোররেয়ার ডি-বক্সে বাড়ানো বল ধরে দ্বিতীয় ছোঁয়ায় নিচু শটে গোলটি করেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার কোকে। সাফল্য অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পাঁচ মিনিট পর মেসির নৈপুণ্যে সমতায় ফেরে বার্সেলোনা।
সুয়ারেজের ছোট পাস ধরে দু’জনের মধ্যে দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে ডান পায়ের শটে কাছের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন আর্জেন্টাইন তারকা।
ম্যাচের ৫৯তম মিনিটে আবারও জালে বল পাঠান মেসি। তবে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ফাঁকে বল তার হাতে লাগায় ভিএআরের সাহায্যে হ্যান্ডবলের বাঁশি বাজান রেফারি। তিন মিনিট পর গ্রিজমানের গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা।
৮১তম মিনিটে মোরাতার সফল স্পট কিকে সমতায় ফেরে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। পাল্টা আক্রমণে একা ডি-বক্সে ঢুকে পড়া ভিতোলোকে ঠেকাতে গিয়ে গোলরক্ষক নেতো ফাউল করে বসলে পেনাল্টি পায় সিমেওনের দল।
এরপর ৮৬তম মিনিটে পার্থক্য গড়ে দেন কোররেয়া। মাঝমাঠের কাছ থেকে বল ধরে দ্রুত এগিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে জোরালো শটে গোলটি করেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। আর এ গোলেই উল্লাসে মেতে উঠে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলে ব্যবধানে জয় নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে মাদ্রিদ।