প্রিমিয়ার লিগে দুই ইংলিশ জায়ান্ট লিভারপুল ও টটেনহ্যাম হটস্পার মাত্র দুই পয়েন্টের ব্যবধানে একে অপরের থেকে দূরে রয়েছে। তবে টেবিলের শীর্ষ চারে জায়গা করে নেয়ার মাধ্যমে চ্যাম্পিয়নস লিগে সরাসরি খেলার লক্ষ্যে দুই দলই অভিন্ন আশায় রয়েছে।
রোববার অ্যানফিল্ডে দুই দলের ম্যাচের আগে সে কারণেই চ্যাম্পিয়নস লিগের কথাই বারবার ওঠে আসছে।চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ছিটকে পড়ার অর্থ দুই দলের দুই কোচ জার্গেন ক্লপ ও মরিসিও পোচেত্তিনোর উপর চাপ আরও বৃদ্ধি পাওয়া।
স্পারসদের থেকে সামান্য দুই পয়েন্ট এগিয়ে ক্লপের দল তৃতীয় স্থানে রয়েছে। ফলে তাদের অবস্থান কিছুটা সুবিধাজনক বলাই যায়। টটেনহ্যামের অবস্থান টেবিলের পঞ্চম স্থানে। ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি ও আর্সেনালের থেকে পিছিয়ে রয়েছে স্পারসরা।
রোববারের ম্যাচকে সামনে রেখে ক্লপ বলেছেন, ‘টেবিলের এখন যা পরিস্থিতি তাতে একটি বিষয় স্পষ্ট কালকের (রোববার) ম্যাচটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোন অবস্থানে থেকে আমরা মৌসুম শেষ করতে চাই সেই লক্ষ্য আমরা স্থির করে ফেলেছি। সে কারণেই কালকের ম্যাচটা মূলত ছয় পয়েন্টের ম্যাচ।’
জানুয়ারি ট্রান্সফার উইন্ডোতে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো যেখানে ৪৩০ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করে রেকর্ড গড়েছে সেখানে শীর্ষ চার প্রতিদ্বন্দ্বীদের থেকে লিভারপুল ও টটেনহ্যাম ছিল দারুন ব্যস্ত। ডিফেন্ডার হিসেবে ভার্জিল ফন ডিককে সাউদাম্পটন থেকে ৭৫ মিলিয়ন পাউন্ডে উড়িয়ে নিয়ে এসে ইতিহাস সৃষ্টি করে লিভারপুল। একই সঙ্গে ফিলিপ কুতিনহো বার্সেলোনার কাছে ১৪২ মিলিয়ন পাউন্ডে ছেড়ে দিয়ে প্রচুর লাভ করেছিল অল রেডসরা।
অন্যদিকে দলবদলের একেবারে শেষ মুহূর্তে পিএসজি থেকে লুকাস মৌরাকে দলে এনে নিজেদের শক্তিশালী করার চেষ্টা করেছে টটেনহ্যাম। তারপরেও চলতি মৌসুমে ট্রান্সফার বাবদ প্রিমিয়র লিগে টটেনহ্যাম নিচের দিকেই ছিল।
আর্থিক দিক থেকে দুই ম্যানচেস্টার ক্লাবের থেকে বেশ খানিকটা পিছিয়ে থাকা লিভাপুল ও টটেনহ্যামের দুই কোচ যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন দলবদলের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের ঘর গোছানোর। বিশেষ করে ইংল্যান্ডে এখন পর্যন্ত দু’জনের কেউই বড় কোন টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে পারেননি। সে কারণে অন্তত চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা করে নেয়ার মত সুযোগটা তারা কেউই হাতছাড়া করতে চাচ্ছেন না।
লিভারপুলের সাবেক অধিনায়ক জেমি কারাঘার বলেছেন, মূলত এবার ক্লপ বেশ চাপের মধ্যেই আছেন। তারপরেও লিভারপুল যদি চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে তবে সেটাই হবে দলের জন্য সবচেয়ে বড় পাওয়া।