মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে শেষ পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদ-বার্সেলোনার মধ্যে কোন দলই শেষ হাসি হাসতে পারেনি। ক্যাম্প ন্যুতে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে গোল শূন্য ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে দুই দলকে।
১৭ বছর পর এল ক্লাসিকোতে এমন ড্র দেখলো ফুটবল বিশ্ব। ২০০২ সালে সর্বশেষ এল ক্লাসিকোর ম্যাচ গোল শূন্য ড্র হয়েছিল। গত ৩০ বছরে এটা দ্বিতীয় গোলশূন্য ড্রয়ের ঘটনা।
ম্যাচটি ঘিরে মাঠের বাইরে ব্যাপক সংঘর্ষ চললেও ক্যাম্প ন্যুর ভেতরে ম্যাচটি নিরবিচ্ছিন্ন ভাবেই শেষ হয়েছে। পুরো ম্যাচে অবশ্য রিয়াল মাদ্রিদের কাউন্টার অ্যাটাক সামাল দিতেই ব্যস্ত ছিল বার্সার রক্ষণভাগ। বেশ কয়েকটি আক্রমণকে রুখে দিয়ে রিয়ালের আক্রমণভাগকে হতাশ করে তুলেছিলেন বার্সার গোলরক্ষক।
ম্যাচটি যদিও প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে দুদল। রিয়াল কিংবা বার্সেলোনা কোন দলই তাদের সেরাটা দিতে পারেনি। বিশেষ করে গোল দিতে না পারাট দুই দলের জন্যই ছিল সমান হতাশার।
তবে গোলশূন্য ড্র হওয়ার অর্থ হচ্ছে লা লিগা টেবিলের শীর্ষস্থানটি ধরে রাখলো বার্সেলোনা। ১৭ ম্যাচ শেষে সমান ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে শীর্ষেই থাকলো বার্সা।
এ ম্যাচে রিয়াল অধিনায়ক সার্জিও রামোস ক্লাসিকোতে সর্বোচ্চ ৪৩টি ম্যাচ খেলার অনন্য এক রেকর্ড গড়েছেন। প্রথমার্ধের প্রায় পুরোটাই ছিল রিয়ালের আধিপত্যে ভরা। ১৭ মিনিটে বার্সার পোস্টের সামনে দারুণ এক হেড নিয়েছিলেন ক্যাসেমিরো। কিন্তু একেবারে লাইনের উপর থেকে তা ক্লিয়ার করেন পিকে। এরপর গ্যারেথ বেল ও করিম বেনজেমা মিলে বেশ কয়েকটি আক্রমণ চালিয়েও সফল হতে পারেননি।
৩১ মিনিটে প্রথমবারের মত মেসি কিছুটা সরব হয়ে উঠেন। জোর্দি আলবার ক্রস থেকে জোড়ালো শট নিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন এ সুপারস্টার। তবে এ যাত্রা রিয়ালকে রক্ষা করেন রামোস। রিয়ালের তরুণ মিডফিল্ডার সানটিয়াগো ভালভার্দের শক্তিশালী শট টার স্টেগান রুখে দেন।
খেলার ৪১ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগ নষ্ট করে বার্সেলোনা। মেসির পাসে রিয়াল গোলরক্ষক থিবাট কুর্তোয়াকে একা পেয়েও পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন আলবা।
দ্বিতীয়ার্ধে মেসি ও লুইস সুয়ারেজ নিজেদের সুযোগগুলো কাজে লাগালে বার্সেলোনা হয়ত এগিয়ে যেতে পারতো। ম্যাচ শেষের ১৫ মিনিট আগে বেল গোল করলেও বলটির যোগনদাতা ফারলান্ড মেন্ডির অফ-সাইডের কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। ফলে নির্ধারিত সময় পর গোল শূন্যভাবেই শেষ হয় রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার ম্যাচ।