প্রিয় ক্লাব বার্সেলোনার জার্সি গায়ে ৭০০তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন ফুটবল যাদুকর লিওনেল মেসি। নিজের এই মাইলফলক ম্যাচটি স্মরণীয়ও করে রাখলেন মেসি। নিজে গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও দুই গোল। ভেঙেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর রেকর্ডও।
বুধবার রাতে নিজেদের ঘরের মাঠের এ ম্যাচটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল বার্সেলোনার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে বুরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে কাতালানরা।
ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই প্রাধান্য বিস্তার করে খেলে বার্সেলোনা। তবে শুরুতেই গোল খাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। ইভান রাকিটিচের ভুলে গোল খেতে বসা স্বাগতিকরা সে যাত্রায় গোলরক্ষক মার্ক-টের স্টেগেন ও ডিফেন্ডার ক্লেমেন্ট লংলেটের দক্ষতায় বেঁচে যায়।
২৫ মিনিটে ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়া উসমান ডেম্বেলের বদলে মাঠে নামেন গ্রিজম্যান। এরপরই আক্রমণে প্রাণ পায় বার্সা, এর চার মিনিট পরই এগিয়ে যায়। মেসির পাস থেকে অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে বল ধরে দারুণ শটে জালে জড়ান সুয়ারেজ।
এরপর ম্যাট হ্যামেলসের ভুলে ব্যবধান আরও বাড়ায় বার্সা। ফাঁকায় বল পেয়ে যান মেসি। সুয়ায়রেজের সঙ্গে দেওয়া-নেওয়া করে দারুণ এক কোণাকোণি শটে লক্ষ্যভেদ করেন আর্জেন্টাইন তারকা। এটি তার ক্যারিয়ারের ৬১৩তম গোল। এ গোলের মাধ্যমে মেসি ভেঙে ফেলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর একটি রেকর্ড। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৩৪তম প্রতিপক্ষে বিরুদ্ধে গোল করলেন এলএমটেন।
বিরতির পর আবারও গোলের দেখা পায় বার্সেলোনা। পাল্টা আক্রমণ থেকে মেসির নিখুঁত পাসে লক্ষ্যভেদ করেন গ্রিজম্যান। বার্সার জার্সি গায়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটাই তার প্রথম গোল। এরপর ৭৫ মিনিটে দুরূহ কোণ থেকে মেসির নেওয়া ফ্রিকিক বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে।
তবে এর দুই মিনিট পর ব্যবধান কমায় ডর্টমুন্ড। হুলিয়ান ব্রান্ডের পাস দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দূরপাল্লার শটে লক্ষ্যভেদ করেন বদলি খেলোয়াড় জর্ডান সাঞ্চো। তবে নির্ধারিত সময়ে আর কোন গোল না হওয়া ৩-১ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।
এদিকে পাঁচ ম্যাচ শেষে তিনটি জয় ও দুটি ড্রয়ে বার্সেলোনার ঝুঁলিতে এখন ১১ পয়েন্ট। সমান সংখ্যক ম্যাচে ডর্টমুন্ড ৭ পয়েন্ট। ৭ পয়েন্ট ইন্টার মিলানেরও। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় দুই নম্বরে ইন্টার।