হারতে বসা আর্জেন্টিনাকে যোগ করা সময়ে বাঁচালেন লিওনেল মেসি। উরুগুয়ের বিপক্ষে দুইবার পিছিয়ে পড়েও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ড্র করে মাঠ ছেড়েছে আর্জেন্টিনা।
খেলার প্রথমার্ধে এদিনসন কাভানির গোলে উরুগুয়ে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে সমতা টানেন সের্হিও আগুয়েরো। খানিক পর লুইস সুয়ারেসের নৈপুণ্যে আবারও এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। শেষে সফল স্পট কিকে হার এড়ান মেসি। সোমবার রাতে তেল আবিবের ব্লুমফিল্ড স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে।
ছন্দে থাকা আর্জেন্টিনা এদিনও ম্যাচের শুরু থেকে অধিকাংশ সময় বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ ধরে রাখে। কিন্তু ভালো কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না তারা। এরই মাঝে ৩৪তম মিনিটে দারুণ পাল্টা আক্রমণে গোল আদায় করে নেয় উরুগুয়ে। ডান দিক থেকে লুইস সুয়ারেসের বাড়ানো বল স্লাইডে জালে পাঠান পিএসজি ফরোয়ার্ড কাভানি।
চার মিনিট পর সমতায় ফেরার সহজ সুযোগ নষ্ট করেন দিবালা। বাঁ দিক থেকে মার্কোস আকুনার পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে শট নিতে ব্যর্থ হন ইউভেন্তুস ফরোয়ার্ড। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় জালে বল পাঠালেও শট নেওয়ার আগে বল তার হাতে লাগায় গোল মেলেনি।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণাত্মক শুরু করা আর্জেন্টিনা ৫৩তম মিনিটে গোল পেতে পারতো। তবে ২৫ গজ দূর থেকে মেসির ফ্রি-কিক ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক।
১০ মিনিট পর মেসি-আগুয়েরোর বোঝাপড়ায় কাঙ্ক্ষিত গোল পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। বাঁ দিক থেকে বার্সেলোনা তারকার দারুণ ফ্রি-কিকে হেডে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন ম্যানচেস্টার সিটি স্ট্রাইকার।
সমতায় ফেরার স্বস্তি অবশ্য স্থায়ী হয়নি তাদের। ৬৮তম মিনিটে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে বুলেট গতির ফ্রি-কিকে উরুগুয়েকে ফের এগিয়ে নেন সুয়ারেস।
নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে আগুয়েরোর জোরালো হেড কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান উরুগুয়ে গোলরক্ষক। তবে শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় গোল খাওয়া থেকে দলকে বাঁচাতে পারেননি তিনি।
যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে স্পট কিকে স্কোরলাইন ২-২ করেন মেসি। ডি-বক্সে ডিফেন্ডার মার্তিন কাসেরেসের হাতে বল লাগলে পেনাল্টিটি পেয়েছিল আর্জেন্টিনা।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরে টানা দুই ম্যাচে গোল করলেন এবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার। জাতীয় দলের হয়ে তার মোট গোল হলো ৭০টি।