চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রোমঞ্চকর ম্যাচে ৪-১ গোলে পিছিয়ে পড়ার পরও আয়াক্সের সঙ্গে ৪-৪ ব্যবধানে ড্র করেছে চেলসি। মঙ্গলবার ৯ জনের দলে পরিণত হওয়া ডাচ দলের বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে দুই গোল করে দলকে সমতায় ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন জর্জিনহো।
একই রাতে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল কোন রকমে জয় পেলেও ড্র করেছে বার্সেলোনা। এছাড়া ইন্টার মিলানকে হারিয়ে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড লড়াইয়ে ফিরেছে। আর বড় ব্যবধানে জয়লাভ করেছে ভ্যালেন্সিয়া। তবে সেরা নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছে স্টামফোর্ড ব্রিজে।
দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিটের মধ্যেই হাকিম জিয়েচের বানিয়ে দেওয়া বলে ডোনি ফন ডি বিক গোল করে আয়াক্সকে ৪-১ গোলে এগিয়ে দিয়ে জয়ের সুভাসই পাচ্ছিল। এর আগে প্রথমার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে পিছিয়ে পড়া চেলসির হয়ে চতুর্থ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতায় ফিরিয়ে এনছিলেন জর্জিনহো।
কিন্তু ম্যাচের ২০ মিনিটে কুইন্সি প্রমেস এবং ৩৫ মিনিটে কেপা আরিজাবালাগার আত্মঘাতি গোলের সুবাদে ৩-১ গোলের লীড নিয়ে বিরতিতে যায় আয়াক্স।
বিরতির পর পিছিয়ে পড়া চেলসির হয়ে ব্যবধান পুনরায় কমিয়ে আনেন চেজার আজপিলিকুয়েটা। ৬৩ মিনিটে খুবই কাছ থেকে গোল করে তিনি ৪-২ গোলে ফিরিয়ে আনেন স্বাগতিক দলকে। এরপর গোল পরিশোধে আরও মরিয়া হয়ে প্রানপন লড়াই শুরু করে তারা।
এক পর্যায়ে আয়াক্সের ডেলি ব্লিন্ডকে লাল কার্ড দেখিয়ে এবং বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবলের কারণে পরবর্তীতে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখিয়ে তাদের আরেক খেলোয়াড় জোয়েল ভেল্টম্যানকে মাঠ ছাড়া করেন ম্যাচের দায়িত্বরত ইতালীয় রেফারি জিয়ানলুসা রোচ্চি। এ সময় পেনাল্টি থেকে ফের গোল করে ব্যবধান আরও কমিয়ে দেন জর্জিনহো।
ম্যাচের ৭৪ মিনিটে টিনএজার বিচে জেমস গোল করে চেলসিকে ৪-৪ গোলের সমতায় ফিরিয়ে আনেন। এ ফলাফলের কারণে এইচ গ্রুপে এখন সমান পয়েন্টে রয়েছে আয়াক্স, চেলসি ও ভ্যালেন্সিয়া।
স্প্যানিস ক্লাব ভ্যালেন্সিয়া পিছিয়ে পড়েও ৪-১ গোলে হারিয়েছে লিলিকে। প্রথমার্ধে নাইজেরীয় স্ট্রাইকার ভিক্টর ওসিমেনের গোলে এগিয়ে যায় লিলি। তবে বিরিতর পর পেনাল্টি থেকে ডানি পারেজোর গোলে সমতায় ফিওে আসে ভ্যালেন্সিয়া। এরপর শেষ আট মিনিটে তিনবার লিলির জালে বল পাঠায় স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
এদিকে দুই সপ্তাহ আগে জেঙ্কের মাঠে ৪-১ গোলে জয় পাওয়া লিভারপুল আরেকটি সহজ জয় পাচ্ছে বলেই মনে করা হয়েছিল। অ্যানফিল্ডে অনুষ্ঠিত ফিরতি ম্যাচে জর্জিনহো ভিজনালডামের ১৪ মিনিটের গোলে এগিয়েও গিয়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
বিরতির আগেই ৪০ মিনিটের সময় দর্শনীয় হেডে গোলটি পরিশোধ করে দেন তানজানিয়ার স্ট্রাইকার এমবাওয়ানা এ্যালি সামাত্তা। বিরতির পর অ্যালেক্স অক্সলাদে-চেম্বারলিনের গোলে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিক লিভারপুল।
একই রাতে সালজবার্গের বিপক্ষে একটি জয় পেলেই শেষ ষোল নিশ্চিত হয়ে যেত নাপোলির। কিন্তু ১-১ ম্যাচে ড্র করে অপেক্ষাতেই রয়ে গেল ইতালীয় জায়ান্টরা। ম্যাচের ১১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে সালজবার্গকে এগিয়ে দেন ১৯ বছর বয়সি ব্রাউট হ্যালান্ড। এটি ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার সপ্তম গোল। বিরতির আগেই ৪৩ মিনিটে হিরভিং লোজানো গোলটি পরিশোধ করে সমতায় ফিরিয়ে আনেন নাপোলিকে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আরেক ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আসরাফ হাকিমির জোড়া গোলে ইন্টার মিলানকে হারিয়ে লড়াইয়ে ফিরেছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। এ জয়ে ‘এফ’ গ্রুপের দ্বিতীয় স্থান নিশ্চিত করেছে ডর্টমুন্ড। তারা এখন ইন্টারের চেয়ে তিন পয়েন্টে এগিয়ে গেছে।
এক পয়েন্টে পিছিয়ে রয়েছে বার্সেলোনার চেয়ে। স্লাভিয়া প্রাগের সঙ্গে গোল শূন্য ড্র করার পরও গ্রুপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে কাতালান জায়ান্টরা।