স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে এগিয়ে থেকেও শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে ১-১ গোলে ড্র করেছে বাংলাদেশ। ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ রাউন্ড দুই এর বাছাইপর্বের ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে মঙ্গলবার কলকাতার সল্ট লেকের বিবেকানন্দ যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গণ স্টেডিয়ামে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচে ১-০ গোলে লিড নেওয়া জেমি ডে’র শিষ্যরা শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে।
ম্যাচের ৪২ মিনিটে সাদ উদ্দিনের গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু ৮৮ মিনিটে ভারতের আদিল খান পরিশোধ করে দেন গোলটি। এর আগে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলতে থাকে বাংলাদেশ।
শুরুর দ্বিতীয় মিনিটেই একটি গোলের সুযোগ তৈরি করে বাংলাদেশ। তবে ভারতের ডি বক্সেই সেটি আটকে যায়। সফরকারী দলের পরপর কয়েকটি আক্রমণের পরই নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে খেলা শুরু করে ভারত। মনোযোগ দেয় প্রতিআক্রমণের দিকে। তবে তারাও আটকে যায় বাংলাদেশ দলের সুরক্ষিত রক্ষণে। গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাও বেশ কয়েকটি আক্রমণ রুখে দেন।
ম্যাচের ৩৪ মিনিটে অবশ্য গোলের সেরা সুযোগটিই তৈরি করে ভারত। ডানদিক থেকে নেওয়া একটি শট এক হাতে বারের ওপর দিয়ে বাইরে পাঠিয়ে দেন রানা। ফলে হাফ ছেড়ে বাঁচে লাল সবুজ শিবির।
ফিফা র্যাংকিংয়ের বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থানে ১৮৭তম। অপরদিকে ভারতের অবস্থান ১০৪। র্যাংকিংয়ে ৮৩ ধাপ এগিয়ে থাকা ভারত এ পর্যায়ে কিছুটা আধিপত্য বিস্তার করলেও বাংলাদেশ তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই সুযোগ তৈরির চেষ্টা করে। সেই সুযোগেরই একটি কাজে লাগিয়ে ম্যাচের ৪২ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার দুর্দান্ত এক ফ্রি কিক বক্সের মধ্যে পেয়ে মাথা ছুঁইয়ে দেন সাদ উদ্দিন। তার ঝাপিয়ে পড়া হেডের ছোঁয়ায় বল জড়িয়ে যায় ভারতের জালে। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ওই ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ্ব শেষ করে জেমি ডে’র শিষ্যরা।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে ওঠে ভারত। এ অর্ধের শুরুতে তারা বেশ কয়েকটি আক্রমণ রচনা করে। তব রক্ষণভাগের দক্ষতায় এবং গোলরক্ষক আশরাফুলের দৃঢ়তায় সফল হতে পারেনি তারা। এ সময় প্রতিআক্রমণ থেকে নিশ্চিত গোলের সুযোগ পেয়েও খেই হারিয়ে ফেলায় গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন নাবিব নেওয়াজ জীবন ও বিপলু আহমেদ।
শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ৮৮ মিনিটে স্বাগতিক দলের অধিনায়ক সুনিল ছেত্রির কর্নারের শটে আকষ্মিভাবে লাফিয়ে ওঠে কৌনিক হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন আদিল খান। ঘটনাটি এতটাই আকষ্মিকভাবে ঘটেছিল যে জটলায় থাকা বাংলাদেশ দলের রক্ষণের খেলোয়াড় ও গোলরক্ষকের কিছুই করার ছিল না। ফলে ১-১ গোলের সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় জেমি ডে’র শিষ্যদের।