২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইয়ে ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল। এ ম্যাচের মাধ্যমে ৩৪ বছর পর কলকাতার মাটিতে ভারতের বিপক্ষে নামবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল।
বাংলাদেশ-ভারত মোট ২৪টি ম্যাচ খেলেছে। অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়েছে ১০টি, ভারত জিতেছে ১১টিতে। বাংলাদেশ মাত্র ৩টি ম্যাচে জয় পেয়েছে।
এদিকে কলকাতায় মঙ্গলবারের (১৫ অক্টোবর) ম্যাচটি ঘিরে দুই দেশের লড়াই নতুন মাত্রা পেয়েছে। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়।
বাছাই পর্বের দুই ম্যাচের দুটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে, ভারত দুই ম্যাচে খেলে একটিতে ড্র করলেও হেরেছে বাকিটি। তাই নিজেদের মধ্যকার লড়াইটিকে পূর্ণ পয়েন্ট প্রাপ্তির ভালো সুযোগ বলে মনে করছে দু’পক্ষই।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেছেন, এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ, কেবল আমাদের জন্য নয়, ভারতের জন্যও। তাদেরও জয় দরকার। এটা একটা কঠিন ম্যাচ হতে যাচ্ছে।
এবারের বাছাইয়ে বাংলাদেশ ও ভারত দুদলই এখনও জয়শূন্য। সল্টলেকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ম্যাচে এ ধারা থেকে বের হতে মরিয়া দুই শিবিরই। যে কোনো মূল্যে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার প্রবণতা থেকে মাঠে যুদ্ধংদেহী মনোভাব দেখাতে পারেন ফুটবলাররা, এমনটাই মনে করছেন জামাল।
তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয়, প্রচুর ট্যাকল হবে আর হলুদ কার্ডের ছড়াছড়িও দেখতে পাওয়া যাবে। কারণ কেউ-ই এ ম্যাচটি হারতে চায় না। আমি ব্যক্তিগতভাবে হারতে চাই না। আর আমি নিশ্চিত, সুনীলও (ছেত্রী, ভারতীয় দলের দলনেতা) হারতে চায় না।
বাংলাদেশ দলের কোচ জেমি ডে অবশ্য দ্বিধাহীনভাবে এগিয়ে রাখছেন স্বাগতিক ভারতকে। ফিফা র্যাঙ্কিং আর অতীত পরিসংখ্যানও সায় দিচ্ছে তার কথায়। ভারত যেখানে র্যাঙ্কিংয়ের ১০৪ নম্বরে, সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৭তম। ৮৩ ধাপ পিছিয়ে থাকলেও মাঠে নিজেদের সেরাটা ঢেলে দেওয়ার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চান তিনি।
তিনি বলেন, ছেলেরা (এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতারের বিপক্ষে ঘরের মাঠে) খুবই ভালো খেলেছে এবং আমি খুবই আনন্দিত। আমি কেবল আরেকটি ইতিবাচক নৈপুণ্য প্রদর্শনের প্রত্যাশা করছি।