ইউরো বাছাইপর্বে স্পেনকে রুখে দিল নরওয়ে। শনিবার ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচ শেষ হয়েছে ১-১ সমতায়। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে স্পেনকে এগিয়ে নেন সাউল নিগেস। স্পট কিকে সমতা ফেরান জশুয়া কিং।
মাঠে নেমেই ইকের কাসিয়াসকে ছাড়িয়ে স্পেনের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ (১৬৮) খেলার রেকর্ড গড়ে ফেলেন রামোস। চূড়ায় ওঠা ম্যাচের প্রথমার্ধে রক্ষণে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে স্প্যানিশ অধিনায়ককে।
ম্যাচের প্রথম মিনিটে দারুণ এক আক্রমণে শুরু করে স্পেন। দ্রুত নিজেদের গুছিয়ে নেয় নরওয়ে। পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। যথারীতি ছোট ছোট পাসে আক্রমণ গড়ার চেষ্টা করে স্পেন। গতিময় ফুটবলে দিয়ে তাদের বেশ চাপে রাখে নরওয়ে।
প্রথমার্ধে সবচেয়ে ভালো সুযোগ পেয়েছিল তারাই। ৩৮তম মিনিটে দারুণ এক ক্রসে বল পেয়ে যান ওমর এলাব্দুল্লাও। পুরোপুরি অরক্ষিত ডিফেন্ডারের সামনে ছিলেন কেবল স্পেন গোলরক্ষক।
প্রথম সুযোগে শট না নিয়ে একটু সময় নেন ওমর, ততক্ষণ কোণ হয়ে যান দুরূহ। শেষে গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে নষ্ট করেন দারুণ সুযোগ।
দ্বিতীয়ার্ধেও প্রথম মিনিটেই আক্রমণে যায় স্পেন। এবার ঠিকানা খুঁজে পায় অতিথিরা। ডি-বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে দলকে এগিয়ে নেন নিগেস।
পিছিয়ে পড়ার পর আক্রমণে আরও বেশি মনোযোগ দেয় নরওয়ে। প্রতি-আক্রমণে মাঝে মধ্যেই ভীতি ছড়ায় স্পেন। ৬৭তম মিনিটে ব্যবধান প্রায় বাড়িয়েই ফেলছিল তারা। ফাবিয়ান রুইসের দূরপাল্লার শট ব্যর্থ হয় ক্রসবারে লেগে।
শেষ সময়ে পুরোপুরি রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে অতিথিরা। আক্রমণের পর আক্রমণ করে যাওয়া নরওয়ে সুফল পায় শেষে। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে ওমরের মুখে মেরে বসেন গোলরক্ষক কেপা আরিসাবালাগা। যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে তাকে ভুল দিকে পাঠিয়ে বল জালে পাঠান কিং।
টানা ৬ জয়ের পর এ প্রথম পয়েন্ট হারালো স্পেন। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে তারা।