সেভিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলেছে বার্সেলোনা। প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে মেসির পায়ের কারিশমায় ৪-০ গোলে মাঠ ছেড়েছে বার্সেলোনা। প্রথমার্ধে সুয়ারেজ, ভিদাল ও ডেম্বেলে একটি করে গোল করেন।
রোববার রাতে ম্যাচ শুরু হওয়ার পর প্রথম দিকে বেশ কয়েকবার গোল করার সুযোগ পেয়েছে সেভিয়া। তবে বারবার সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন সেভিয়ার ডাচ ফরোয়ার্ড লুক ডি ইয়ং। খেলার ১১তম মিনিটে লুক ডি ইয়ংয়ের শট থেকে নিজেদের রক্ষা করেন টের স্টেগেন। এরপর নিজের ভুলে সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়েও গোল করতে পারেনি।
২৬তম মিনিটেও একই ঘটনা। ওকাম্পোসের ক্রসে হেড করলে সেটা মাটিতে ড্রপ খেয়ে ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যায়। তবে বার্সেলোনা সে ভুল করেনি। তার এক মিনিট পরেই দুর্দান্ত এক বাইসাইকেল শটে সেভিয়ার জালে বল পাঠিয়ে দেন লুইস সুয়ারেজ।
খেলার ২৭তম মিনিটে সুয়ারেজের গোলের পর সেভিয়াকে পেয়ে বসে বার্সেলোনা। পরবর্তী ৮ মিনিটের মধ্যে সেভিয়ার জালে আরও দুইবার বল পাঠায় বার্সেলোনা। প্রথমার্ধেই এগিয়ে যায় ৩-০ গোলে।
সুয়ারেজের গোল করার ঠিক দুই মিনিট পর অতিথিদের বুকে চুরি চালান ভিদাল। আর্থারের দুর্দান্ত শটে ভিদাল শুধু পা ছুঁয়ে দেন।৯ মিনিট পর আবারও গোল করে বার্সেলোনা। এবার ডেম্বেলে। আর্থারের চমৎকার এক ক্রস নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পায়ের দারুণ কাজ দেখান তিনি। সেভিয়ার ডিফেন্ডার ও গোলকিপারকে ফাঁকি দিয়ে ডান পায়ের আড়াআড়ি শটে বল জালে জড়ান ফরাসি এ তারকা।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ৫৯ মিনিটে মেসির একটি শট কোনোমতে ঠেকিয়ে দেন সেভিয়ার গোলরক্ষক। ৬৭ মিনিটে সেভিয়ার গোলরক্ষককে একা পেয়েও জোড়া গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন ডেম্বেলে। তবে মিনিট দশেক পর সুয়ারেজকে আটকাতে পড়ে গিয়ে বল হাতে লাগান সেভিয়ার খেলোয়াড়।
ডি বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পায় বার্সেলোনা। সেভিয়ার রক্ষণ দেয়ালের ওপর দিয়ে মেসির নেওয়া দুর্দান্ত শটে ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। চলতি মৌসুমে এটি তার প্রথম গোল।
এরপর নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার ৫ মিনিট আগে মেসির আরেকটি শট আটকে দেয়। পরের মিনিটে গোলের সুযোগ পান সুয়ারেজ। এবার তিনিও ব্যর্থ হন। নির্ধারিত সময় শেশে ৪-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন মেসি-সুয়ারেজরা।
এদিকে নিজের অভিষিক্ত ম্যাচে ১৫ মিনিটও খেলতে পারেননি উরুগুয়ের তরুণ রোনাল্ড আরোখো। সেভিয়ার হার্নানদেজকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তিনি। রেফারির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ডেম্বেলে দেখেন ম্যাচের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড। ফলে তাকেও মাঠ ছাড়তে হয়। তর্কে জড়িয়ে হলুদ কার্ড দেখেন বার্সেলোনার আরেক খেলোয়াড় বুসকেটস। খেলা শেষ হওয়ার তিন-চার মিনিট আগে দুই লাল কার্ডে বার্সেলোনা ৯ জনের দলে পরিণত হলেও সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি সেভিয়া।