স্পোর্টসমেইল২৪
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এবারের মৌসুমে প্রথম গোল পেলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। রোনালদোর গোলেই বায়ার লেভারকুসেনকে তুরিনে ৩-০ গোলে পরাজিত করে দুই ম্যাচে প্রথমবারের মতো জয় তুলে নিয়েছে জুভেন্টাস।
গঞ্জালো হিগুয়েইনের গোলে প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। এরপর ৬১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন ফেডেরিকো বার্নারডেশি। ৮৯ মিনিটে দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন রোনালদো। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পর্তুগীজ তারকার এটি রেকর্ড ১২৭তম গোল।
অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের সাথে সমান চার পয়েন্ট নিয়ে জুভেন্টাস গ্রুপ-ডি’র শীর্ষে অবস্থান করছে। রাশিয়ায় লোকোমোটিভ মস্কোকে ২-০ গোলে পরাজিত করে পূর্ণ তিন পয়েন্ট অর্জন করেছে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। প্রথম ম্যাচে ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানোতে জুভেন্টাস ও অ্যাথলেটিকোর মধ্যকার ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছিল।
ম্যাচ শেষে জুভেন্টাস কোচ মরিজিও সারি বলেছেন, আমরা এমন একটি দলের বিপক্ষে জয় পেয়েছি যারা পজিশনকে ভালোবাসে। এ ধরনের দলের বিপক্ষে খেলাটা মোটেই সহজ নয়। প্রথমার্ধে তারা আমাদেরকে বেশ চাপে রেখেছিল। তবে বিরতির পর তাদের ছন্দপতনের সুযোগে আমরা নিয়ন্ত্রণ নিজেদের করে নিয়েছিলাম।
আগামী ২২ অক্টোবর পরবর্তী ম্যাচে জুভেন্টাস লোকোমোটিভকে আতিথ্য দেবে। একইদিন গ্রুপের অপর ম্যাচে লেভারকুসেন
অ্যাথলেটিকো সফরে যাবে।
ম্যাচে সারি তার মূল একাদশে আক্রমণভাগে পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী রোনালদো সাথে হিগুয়েইন ও বার্নারডেশিকে নামিয়েছিলেন। ওয়ার্ম-আপের সময় অধিনায়ক লারস বেন্ডার উরুর সমস্যায় পড়লে তার আর খেলা হয়নি। ম্যাচের শুরুতেই অধিনায়ককে হারিয়ে লেভারকুসেন কিছুটা হলেও বিচলিত হয়ে পড়েছিল।
ডিফেন্ডার মিচেল ওয়েইসারকে কিছুটা উপরে উঠিয়ে আনা হয়। এ জার্মান ম্যাচের শুরুতে স্বাগতিকদের জন্য কিছুটা হলেও বিপদজনক হয়ে উঠেছিলেন। ৩ মিনিটেই লুকাস আলারিওর শট গোলের ঠিকানা খুঁজে পায়নি। পুরো ম্যাচে এটাই লেভারকুসেনের সবচেয়ে সেরা সুযোগ হিসেবে পরে বিবেচিত হয়েছে।
১৭ মিনিটে হুয়ান কুয়াড্রাডোর লম্বা বল লিভারকুসেন ডিফেন্ডার জোনাথন টাহ ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে হিগুয়েইন দলকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ নষ্ট করেননি। ৩২ বছর বয়সী হিগুয়েইন এসি মিলান ও চেলসিতে ধারে দুই বছর থাকার পর আবারও তুরিনে ফিরেছেন। ৩৮ মিনিটে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক লুকাস হ্রাডিকেকে দৃঢ়তায় ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারেননি এ আর্জেন্টাইন তারকা।
বিরতির পরও জুভেন্টানের আগ্রাসী কৌশল অব্যাহত ছিল। ৫৫ মিনিটে রোনালদোর শট অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়। ৬১ মিনিটে হিগুয়েইনের একটি রিটার্ন পাস থেকে রোনালদো বলটি ধরতে ব্যর্থ হলেও বার্নারডেশি কোন ভুল করেননি।
কিছুক্ষণ পরে হ্রাডিকে লাইনের উপর থেকে একটি বল কোনমতে ক্লিয়ার না করলে তখনই হয়ত তৃতীয় গোলটি পেয়ে যেত জুভেন্টাস। ম্যাচের শেষের দিকে বার্নারডেশির স্থানে ওয়েলস তারকা অ্যারন রামসে ও হিগুয়েইনের স্থানে পাওলো ডিবালাকে নামানো হয়। শেষ মিনিটে ডিবালার থ্রু বলে রোনালদো দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন। এ গোলের মাধ্যমে রিয়াল মাদ্রিদের তারকা রাউলের রেকর্ড ভঙ্গ করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৩৩টি ভিন্ন দলের বিপক্ষে গোল করার কৃতিত্ব দেখালেন ৩৪ বছর বয়সী রোনালদো।
