পেনাল্টিতে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জোড়া গোলে অবশেষে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ৪-১ গোলের স্বস্তিদায়ক জয় তুলে নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। একইসাথে এই জয়ে বর্তমান স্প্যানিশ ও ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নদের জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার আত্মবিশ্বাসও ফিরে এসেছে।
মেস্তালার মাঠে এই জয়ে লা লিগা টেবিলের শীর্ষে থাকা বার্সেলোনা থেকে ১৬ পয়েন্ট পিছিয়ে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছেন রিয়াল। শীর্ষ দুই স্থানে থাকা বার্সেলোনা ও এ্যাথলেটিকোর সংগ্রহ যথাক্রমে ৫৪ ও ৪৩। রিয়ালের থেকে দুই পয়েন্ট এগিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভ্যালেন্সিয়া।
রিয়াল ম্যানেজার জিনেদিন জিদান গত ২৭৯ দিনে প্রথমবারের মত নিজের ফেভারিট ফরোয়ার্ড লাইন-আপ রোনাল্ডো, গ্যারেথ বেল ও করিম বেনজেমাকে নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন। ম্যাচ শেষে জিদান বলেছেন, ‘বড় স্টেডিয়ামে এটি একটি বড় ম্যাচ ছিল। আমরা দারুনভাবে নিজেদের মেলে ধরেছি। এর অর্থ হচ্ছে আমরা এখনো প্রতিযোগিতায় টিকে আছি এবং আমরা লড়াই করতে প্রস্তুত। লীগে এখনও অনেক পথ বাকি আছে এবং আমরা সম্ভাব্য সেরাটাই দিতে চাই।’
যদিও এই জয়টাই খুব একটা সহজ ছিল না। রোনাল্ডোর দুই গোলের পরে ৫৮ মিনিটে সান্টি মিনার গোলে ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচে ফিরে আসার ইঙ্গিত দেয়। তবে ম্যাচের শেষ দিকে মার্সেলো ও টনি ক্রুসের গোল রিয়ালকে স্বস্তি এনে দেয়।
মেস্তালার এই মাঠে এবারের মৌসুমে মাত্র একটি ম্যাচে পরাজিত হয়েছে ভ্যালেন্সিয়া। নিজেদের মাঠে এমনিতেই শক্তিশালী ভ্যালেন্সিয়া আগস্টে বার্নাব্যুতে আগের ম্যাচে রিয়ালের সাথে ২-২ গোলে ড্র করেছিল। ভালেন্সিয়ার আত্মবিশ্বাসী দ্রুতগতির কাউন্টার এ্যাটাকিং কৌশলে মাদ্রিদের রক্ষনভাগে রাফায়েল ভারানে ও নাচোকে প্রায় সমসায় পড়তে হয়েছে। বিশেষ করে কর্ণার থেকে স্বাগতিকরা ম্যাচের শুরুতেই বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল। তবে ১৬ মিনিটে বেলের হেড থেকে রোনাল্ডো মার্সেলোরা দিকে বল বাড়িয়ে দিলে ভ্যালেন্সিয়া বক্সের ভিতর ঢুকে পড়লে মার্টিন মনটয়ার ফাউল করেন। সেখান থেকে প্রাপ্ত পেনাল্টিতে দলকে এগিয়ে দেন রোনালদো। ৩৮ মিনিটে মনটোয়ার আবরো ফাউলে প্রাপ্ত স্পট কিক থেকে ব্যবধান দ্বিগুন করেন পর্তুগীজ তারকা। এবারের মৌসুমে লীগে এটা রোনাল্ডোর অষ্টম গোল।
এবারের মৌসুমে মেস্তালায় ভিয়ারেলের কাছে একমাত্র ম্যাচে পরাজিত হয়েছে ভ্যালেন্সিয়া। তবে মারসেরিনো গার্সিয়ার তরুন তুর্কিরা আবারো অতীত ধারাবাহিকতায় নিজেদের লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালায়। বিরতির ঠিক আগে রডরিগো গোলের সুবর্ন সুযোগ নষ্ট করেন। ৫৮ মিনিটে অবশ্য আর ভুল করেননি ২২ বছর বয়সী স্প্যানিশ স্ট্রাইকার সান্টি মিনা। কর্ণার থেকে সুস্পষ্ট হেডে ভ্যালেন্সিয়াকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনেন মিনা। গত তিন ম্যাচে এটি মিনার তৃতীয় গোল। ৮৪ মিনিটে মার্কো আসেনসিওর দারুন এক পাসে মার্সেলো রিয়ালের পক্ষে তৃতীয় গোল করেন। ম্যাচ শেষের এক মিনিট আগে ক্রুস জিদানকে স্বস্তিদায়ক জয় উপহার দেন।