২০২২ ফিফা বিশ্বকাপে লোগো উন্মোচন করলো কাতার। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানী কাতারসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে জনসমক্ষে ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপের লোগো প্রদর্শন করা হয়েছে।
আরব ঐতিহ্যের সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে গড়া এ লোগোতে চিত্রিত ‘অখন্ড লুপ’ যা আট সংখ্যাকে নির্দেশ করছে তা দিয়ে টুর্নামেন্টের জন্য নির্ধারিত ৮টি স্টেডিয়ামকে বোঝানো হয়েছে। এছাড়া প্রতীকটির গায়ে যে বাঁক দেখা যায় তা দিয়ে মরু পাহাড়ের বালিয়াড়ির ঢেউকে বোঝানো হয়েছে।
ওই লুপকে একই সঙ্গে ‘ইনফিনিটি’ চিহ্ন হিসেবেও চিত্রিত করা হয়েছে, যা দিয়ে এ আসরের ‘আন্তঃসংযোগ’র বৈশিষ্ট্যকে প্রতিফলিত করছে। লোগোর প্রতীকটি এমন একটি জাতির গল্পকে প্রতিফলিত করছে যারা মাটি থেকে উপরে ওঠেছে এবং এখনও ঊর্ধ্বগামী।
বিশ্বকাপের বছর ২০২২-এর সঙ্গে মিল রেখে স্থানীয় সময় ঠিক ২০:২২ টায় এ লোগো উন্মোচন করা হয়। থ্রিডি প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ লোগোটি দোহা এবং কুয়েত-মরক্কোর মতো আরব দেশের অনেক শহরে প্রদর্শন করা হয়েছে।
এছাড়া নিউইয়র্কের টাইম স্কায়ার, লন্ডনের লিস্টার স্কয়ারসহ টুর্নামেন্টের সাম্প্রতিক আয়োজক শহর বুয়েন্স আয়ার্স, সাও পাওলো, সান্তিয়াগো, মেক্সিকো সিটি, জোহানেসবার্গ, প্যারিস, বার্লিন, মিলান, মাদ্রিদ, মস্কো, মুম্বাই, সিউল এবং তুরস্কের ১০টি জেলার বিভিন্ন স্থাপনায় লোগোটি প্রদর্শিত হয়।
টুর্নামেন্টকে সমানে রেখে কাতার সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিরামহীন কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। গত মে মাসে নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়েছে ৪০ হাজার আসন বিশিষ্ট আধুনিক স্টেডিয়াম। স্থানীয় ক্লাব কাপের ফাইনাল আয়োজনের মাধ্যমে স্টেডিয়ামটির উদ্বোধন করা হয়েছে।
প্রয়াত ব্রিটিশ ইরাকী স্থপতি জাহা হাদাদ স্টেডিয়ামটির ডিজাইন করেছেন। ৫৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে যেটি নির্মিত হয়েছে দোহার দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকুলবর্তী শহরে। টুর্নামেন্ট উপলক্ষে সর্বমোট ৮টি স্টেডিয়াম নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে।
কাতারের প্রস্তুতির সত্যিকারের পরীক্ষা হবে চ্যাম্পিয়নশীপ টুর্নামেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে। এর অংশ হিসেবে গত মে মাসে উন্মুক্ত করা হয়েছে মেট্রো রেল। তিন লাইনের নেটওয়ার্কের অবশিষ্ট কাজ ২০২০ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।