কলকাতার ফুটবলে রাজনীতির ছায়া

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ০১:০৭ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০১৯
কলকাতার ফুটবলে রাজনীতির ছায়া

রাষ্ট্রবিজ্ঞানে একটা কথা আছে- হু এভার ইউ আর, হোয়াট এভার ইউ ডু, মে বি ইউ আর নট ইন্টারেস্টেড ইন পলিটিক্স, বাট পলিটিক্স ইজ ইন্টারেস্টেড ইন ইউ। কলকাতার ফুটবলের জন্য এ কথাটাই ঘুরে ফিরে সত্যি হয়ে এলো।

কারণ কলকাতার ফুটবল ময়দানেও এবার রাজনীতির ছায়া পড়েছে। ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান ক্লাবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির শীর্ষ নেতারা। অনেকের মত, এই দুই ক্লাবের পাশে দাঁড়িয়ে আসলে সমর্থকদের কাছাকাছি আসতে চাচ্ছে বিজেপি।

ভারতীয় ফুটবলের কথা বললে মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কথা সবার আগে উঠে আসে। কিন্তু ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন বা এআইএফএফ-এর সিদ্ধান্তে দেশের সর্বোচ্চ ফুটবল প্রতিযোগিতায় হয়তো নামা হবে না কলকাতার এই দুই প্রধান দলের। এতদিন আই লিগ ছিল ভারতের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতা। এর পাশাপাশি চলতো ইন্ডিয়ান সুপার লিগ বা আইএসএল। ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই আইএসএল হতে চলেছে দেশের প্রধান ফুটবল প্রতিযোগিতা। অথচ ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় না। এর প্রতিবাদে আসরে নেমেছে বিজেপি।

ভারতের জাতীয় দলের প্রাক্তন গোলরক্ষক কল্যাণ চৌবে এ নিয়ে উদ্যোগী হয়েছেন। তিনি বিজেপি নেতাও বটে। তাঁর উদ্যোগেই ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান ক্লাবের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

এ দুই ক্লাবসহ আই লিগে খেলা ছয়টি দলের জোট ইতোমধ্যে এআইএফএফ সভাপতি প্রফুল্ল প্যাটেলকে চিঠি দিয়েছে। সেই চিঠি পাঠানো হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও। বিজেপি নেতা কৈলাস দুই ক্লাবকে আশ্বাস দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ও ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে তাঁরা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করবেন। যদিও ফেডারেশন একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, এর কাজে সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারে না।

কলকাতার বিভিন্ন ক্লাবে তৃণমূলের প্রভাব রয়েছে। রাজ্য সরকারের কাছ থেকে বিপুল সাহায্যও পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান।

টালিগঞ্জের সিনেমার জগতে বিজেপি যেমন সংগঠন গড়েছে, এটা কি তেমনই মাঠ দখলের চেষ্টা? এমন প্রশ্নের জবাবে কল্যাণ চৌবে বলেন, কেউ এর পেছনে রাজনীতি দেখলে দেখতেই পারেন। কারণ, আমি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। তবে এখানে রাজনীতি নয়, দুই ক্লাবের স্বার্থটাই সবচেয়ে বড়। এই উদ্যোগে যেকোনো দলের লক্ষ্য একই হওয়া উচিত। তৃণমূল অবশ্য এটাকে ভালো চোখে দেখছে না।

পশ্চিমবঙ্গের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের বক্তব্য, ‘‘খেলাধুলায় আমরা রাজনীতি আনতে চাই না৷ আমরা ক্লাবগুলির পাশে আছি।''

 



শেয়ার করুন :


আরও পড়ুন

চালকের আসনে ভারত

চালকের আসনে ভারত

বকেয়া মিটিয়ে বিপিএলে অংশ নিচ্ছে সিলেট সিক্সার্স

বকেয়া মিটিয়ে বিপিএলে অংশ নিচ্ছে সিলেট সিক্সার্স

হয় রেকর্ড নয় হার

হয় রেকর্ড নয় হার

শিরোপার দাবিদার ‘বিগ থ্রি’

শিরোপার দাবিদার ‘বিগ থ্রি’