এএফসি কাপ ইন্টার জোনাল ফাইনালে আগামীকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে আবাহনী ও উত্তর কোরিয়ার এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ। এ টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো পরবর্তী রাউন্ডে আবাহনী।
ফুটবলে উত্তর কোরিয়া খুব একটা না এগুলেও এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভকে দুর্বল ভাবার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, স্থানীয় লিগে তারা ১৮ বার চ্যাম্পিয়ন। এই টুর্নামেন্টেই সিঙ্গাপুরের হোম ইউনাইটেডকে ৯-১ গোলে নিজেদের সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে তারা।
এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ এমন শক্ত প্রতিপক্ষ জেনেও মধুর এক স্মৃতির কারণে তাদের হারানোর আত্মবিশ্বাস পেয়েছে আবাহনী। তা হলো ১৯৮৮ সালে মালয়েশিয়ার পাহাংয়ে অনুষ্ঠিত এশিয়ান ক্লাব কাপ চূড়ান্তপর্বে এই দলকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল মোহামেডান। এরপর ১৯৯১ সালে ঢাকায় গ্রুপপর্বে মোহামেডান পুনরায় মুখোমুখি হয় এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভের সঙ্গে। ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল।
তাই আগামীকালের জোনাল ফাইনাল সামনে রেখে আবাহনীর অনুপ্রেরণা চির প্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানই। তারা এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভকে হারিয়েছে তারাও পারবে এই আত্মবিশ্বাসটাই হতে পারে বড় হাতিয়ার।
আবাহনী যখন মাঠে নামবে তখন দুশ্চিন্তাও কাজ করবে। কারণ মেইন ডিফেন্ডার তপু বর্মন ইনজুরি হয়ে মাঠের বাইরে। আতিকুর রহমানও পুরোপুরি ফিট নয়। মাসি সাইঘানিও চলে গেছে। শক্তি বাড়াতে মিসরের ঈসা আলেনদিনের নাম রেজিস্ট্রেশন করলেও এএফসি সাফ জানিয়ে দিয়েছে ঢাকার প্রথম লেগে ঈসা মাঠে নামতে পারবেন না। গত বছর এএফসি বাছাইপর্বের প্লে অফ ম্যাচে তিনি খেলেন মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসের হয়ে। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে ঈসা লাল কার্ড দেখেন। ব্যাপারটি আবাহনী জানত না। ঈসাও ব্যাপারটা গোপন রেখেছিলেন। বড় একটা বিপদে পড়ে গেছে আবাহনী। তবু আবাহনীর জেতা সম্ভব। যদি মাঠে তারা আসল রূপটা প্রদর্শন করতে পারে।