নেইমারের পিএসজি ছেড়ে বার্সায় যাওয়ার ইচ্ছাটা আসলে বহুদিনের; যদিও দলটির সঙ্গে তার এখনও তিন বছরের চুক্তি রয়েছে। তারপরও নেইমারের বার্সায় যেতে চাওয়ার ইচ্ছাটা যখন থেকে প্রকাশ্যে এসেছে, তখন থেকে সবকিছু যেন স্বাভাবিক ধারায় চলছে না।
যেমন শুরুতেই বলা যায়- যত যাই হোক নেইমারকে নিয়ে কিন্তু বেশ বিরক্ত পিএসজি। ফরাসি ক্লাবটার স্পোর্টিং ডিরেক্টর লিওনার্দো তো সরাসরি বলেই দিয়েছেন, পিএসজি ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে নেইমার ঠিক কিছু করেননি।
টানাটানির মধ্যে নেইমারকে একঘরে করে রাখা হয়েছে বলেও গুঞ্জন রয়েছে। তাকে নিয়ে অনুশীলন করতে হচ্ছে এক একা।
তবে লিওনার্দো অবশ্য বিষয়টা গুজব বলে উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘নেইমারকে একঘরে করে রাখার কথাটা একদম মিথ্যা। ওকে দল থেকে বিতাড়িত করা হয়নি। আপনারা জানেন ও গোড়ালির লিগামেন্টের চোটে ভুগছে। তা ছাড়া ডান পায়ের পঞ্চম মেটাটারসালও ভেঙেছে তার। চোট থেকে তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়ার জন্য ওর নিজস্ব একটা পুনর্বাসন পরিকল্পনা আছে, রুটিন আছে। ও সেটাই অনুসরণ করছে। ও এখনো পিএসজির খেলোয়াড়। ভুলে যাবেন না ক্লাবের সঙ্গে ওর আরও তিন বছরের চুক্তি আছে।’
নেইমারকে সুস্থ করে তোলার জন্য পিএসজি চেষ্টার কোনো কমতি করছে না, জানিয়েছেন লিওনার্দো—‘ও যাতে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে খেলতে পারে, সেদিকে লক্ষ রাখা হচ্ছে। বিশ্বের সেরা চিকিৎসক ও শল্যবিদদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে ওর ব্যাপারে।’
নেইমারের ওপর চটেছেন পিএসজি সমর্থকরাও। প্রথম ম্যাচ দেখতে গিয়ে পিএসজির কিছু সমর্থক নেইমারের প্রতি নিজেদের বিরক্তি প্রকাশ করতে কোনো রাখঢাক রাখেননি। তাঁদের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘দূর হও নেইমার!’ গোটা ম্যাচে নেইমারকে শুনতে হয়েছে দুয়োধ্বনিও। পিএসজি সমর্থকদের এমন আচরণের জন্য কোনো দুঃখপ্রকাশ করেননি ক্লাবটির পরিচালক লিওনার্দো। বরং নেইমারের ভুলটাই চোখে পড়েছে তাঁর, ‘নেইমার আসলে ভুল করে ফেলেছে।’
এসবের পাশাপাশি লিওনাের্দো অবশ্য নেইমারের প্রশংসা করতেও ভোলেননি। তিনি বললেন, ‘আমি ওকে আগে চিনতাম না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ওকে চেনা শুরু করেছি। আমার আসলেই মনে হয় ও অনেক ভালো একটা ছেলে। ওর হৃদয়টা সহজ-সরল। আর খেলোয়াড় হিসেবে নেইমারের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠার অবকাশ নেই।’
সব মিলিয়ে ভালো যাচ্ছে না ব্রাজিলিয়ান এই মহাতারকার দিনগুলো।